সাইফ ইব্রাহিম, ইবি প্রতিনিধি:
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) যাবতীয় ফি প্রদানে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি দীর্ঘদিনের। তবে দেরিতে হলেও এই ভোগান্তির অবসান ঘটছে। ভোগান্তি নিরসনে অনলাইন মোবাইল ব্যাংকিং পদ্ধতির চালু করতে যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বিভাগ, একাডেমিক, পরিবহন, হল ও কাগজপত্র উত্তোলনসহ যাবতীয় ফি অনলাইনে প্রদান করতে পারবেন শিক্ষার্থীরা। এ লক্ষ্যে ইতোমধ্যে এটির ট্রায়াল প্রসেসের কাজও চলমান বলে জানিয়েছে আইসিটি সেল।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শিক্ষার্থীদের যাবতীয় ফি প্রদানের একমাত্র মাধ্যম হলো ইবির অগ্রণী ব্যাংক। ঘন্টার পর ঘন্টা ব্যাংকের লাইনে দাঁড়িয়ে ফি জমা দিতে হয় শিক্ষার্থীদের। এক্ষেত্রে অনেক সময় ফি জমা দেওয়া নিয়ে ঘটছে বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতির মতো ঘটনা। এছাড়া তীব্র গরমে দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে অসুস্থ হয়ে মেডিকেলে ভর্তি হওয়ার মতো ঘটনাও ঘটছে। পরীক্ষার সময় শিক্ষার্থীদের এই ভোগান্তির মাত্রা আরো বেড়ে যায়। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়তে হয় দুর-দূরান্ত থেকে নতুন ভর্তি হতে আসা শিক্ষার্থীরা।
এসব ভোগান্তি নিরসনে দীর্ঘদিন ধরে কর্তৃপক্ষের নিকট ফি প্রদানের সিস্টেমকে অনলাইন মোবাইল ব্যাংকিং এর আওতায় নিয়ে আসার জোর দাবি জানিয়ে আসছেন শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বারবার আশ্বাস দিলেও তা বাস্তবে রূপ নেয়নি। তবে এবার শিক্ষার্থীদের দাবি এবং ভোগান্তির বিষয়ে কাজ শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ।
আইসিটি সেল সূত্র জানিয়েছে, এই পদ্ধতি চালু হলে অগ্রণী ব্যাংকের মোবাইল অ্যাপস এর মাধ্যমে সকল প্রকার ফি পরিশোধ করতে পারবেন শিক্ষার্থীরা। যদি কোন শিক্ষার্থীর অগ্রণী ব্যাংকে একাউন্ট না থাকে সেক্ষেত্রে অন্য মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমেও ফি পরিশোধ করা যাবে। তবে মোবাইল ব্যাংকিং এর ক্ষেত্রে ১.৪ শতাংশ অতিরিক্ত চার্জ কাটা হবে।
এছাড়া ইচ্ছে করলে শিক্ষার্থীরা কোন প্রকার চার্জ পরিশোধ ছাড়াই পূর্বের ন্যায় ব্যাংকে গিয়ে ফি প্রদান করতে পারবেন। অনলাইন মোবাইল ব্যাংকিং চালু করতে ইতোমধ্যে ২০১৭-১৮ থেকে ২০২১ ২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের ডাটাবেজ তৈরি করে তা অগ্রণী ব্যাংকে পাঠানো হয়েছে।
আইসিটি সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. তপন কুমার জোদ্দার বলেন, 'এই কাজটি করার জন্য আইসিটি সেলকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। আমরা আমাদের কাজ সম্পন্ন করেছি। ইতিমধ্যে ডাটাবেজ প্রস্তুত করে সংশ্লিষ্টদের দিয়েছি। ব্যাংক একটি ডেমো তৈরি করেছে, সেটা আমাদের ও প্রশাসনকে দেখাবে। অনলাইন পেমেন্টের ক্ষেত্রে সকল বিভাগ, হল ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকে এটির আওতায় আনা হবে। সবকিছু ঠিক থাকলে অতি শীঘ্রই এই পদ্ধতি চালু করা সম্ভব বলে আশা করি।'
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান বলেন, 'ব্যাংকে সব ডাটা দিয়ে দিয়েছি। আশা করি খুব শীঘ্রই শিক্ষার্থীরা এটির সুফল পাবে।'
সময় জার্নাল/এলআর