মো. জাহিদুল হক, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি:
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগে আবেদনের জন্য অনার্স (স্নাতক) ও মাস্টার্স (স্নাতকোত্তর) পরীক্ষায় অন্তত প্রথম শ্রেণির রেজাল্ট থাকার নিয়ম রয়েছে। তবে, সম্প্রতি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ফিজিক্যাল এডুকেশন অ্যান্ড স্পোর্টস সাইন্স বিভাগে এ নিয়ম শিথিলের সুপারিশ করেছে বিভাগের শিক্ষক নিয়োগের নীতিমালা পুনঃনির্ধারণের জন্য গঠিত এক সদস্যের একটি কমিটি।
শিক্ষক নিয়োগের মতো এমন গুরুত্বপূর্ণ পদে দ্বিতীয় শ্রেণী/বিভাগে উত্তীর্ণ কাউকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগের সরাসরি বিরোধিতা করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক সিন্ডিকেট সদস্য। তাদের মতে, নতুন বিজ্ঞপ্তি না দিয়ে পাঁচ বছর আগের পুরাতন বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখিত যোগ্যতা শিথিল করে দ্বিতীয় শ্রেণী/বিভাগে উত্তীর্ণ কাউকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেয়া শিক্ষকতা ও উচ্চশিক্ষার জন্য হুমকি। এমন সিদ্ধান্ত ব্যাক্তি স্বার্থ ছাড়া আর কিছুই নয়।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিমালা অনুযায়ী শিক্ষক পাওয়া যাচ্ছে না বলে আত্তীকরণের মাধ্যমে একজন শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে শিথিল করা যোগ্যতার ভিত্তিতে। বিভাগের কর্মরত ডেপুটি ডিরেক্টরদের থেকে এই আত্তীকরণ করার কথাও বলা হয়েছে। তবে, একাধিক সিন্ডিকেট সদস্য বলছেন প্রথম শ্রেণির রেজাল্ট ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ কোনভাবেই কাম্য নয়।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের অনুমোদনে ২০১৫ সালে চবি শিক্ষা অনুষদের অধীনে প্রতিষ্ঠা হয় ফিজিক্যাল এডুকেশন অ্যান্ড স্পোর্টস সাইন্স বিভাগ। প্রতিবছর এ বিভাগে ৪০টি আসনে শিক্ষার্থী ভর্তি নেওয়া হয়। তবে, বিভাগ চালুর ৮ বছরেও এখনো পর্যন্ত মাস্টার্স শেষ করতে পারে নি কেউই। এমনকি বিভাগটিতে এ পর্যন্ত কোন স্থায়ী শিক্ষকও নিয়োগ দেওয়া হয় নি। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক বড় একটি ব্যর্থতা।
এ নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যেও দেখা দিয়েছে চরম হতাশা। একাডেমিক নিরাপত্তাহীনতার ভয়ে সরাসরি মুখ খুলতে রাজি হোন নি কেউই। নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিভাগের এক শিক্ষার্থী জানান, যোগ্যতা শিথিল করে নিয়োগ বিভাগের জন্য হুমকি। আমাদের একজন অস্থায়ী শিক্ষক আছেন, যার কোন বিপিএড ডিগ্রি নেই। অপর দিকে কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে আত্মীকরণ করে যে শিক্ষক নেয়া হচ্ছে, উনাদের থেকে ভালো খেলোয়াড় ও ভালো রেজাল্টধারী অনেক প্রার্থী বাংলাদেশে আছেন।
বিভাগের আরেকজন শিক্ষার্থী বলেন, যোগ্যতা শিথিলের এই নিয়োগে অবশ্যই প্রশাসন সংশ্লিষ্টদের স্বার্থ রয়েছে, নয়তো যোগ্য প্রার্থী থাকা সত্ত্বেও কেন যোগ্যতা শিথিল করে অযোগ্য লোক নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে? এখানে আর্থিক কোন লেনদেনও থাকতে পারে কিংবা অন্যকোন অদৃশ্য শক্তির প্রভাবও থাকতে পারে
এদিকে প্রভাষক পদে ৩ জন শিক্ষক নিয়োগের জন্য ২০১৮ সালে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এতে গ্রেডিং পদ্ধতিতে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের ক্ষেত্রে এইচএসসি প এসএসসি (সমমান) পরীক্ষায় আলাদাভাবে ন্যূনতম জিপিএ ৩.০০ অথবা উক্ত দু'টিতে মোট ন্যূনতম ৭.০০ এবং অনার্স ও মাস্টার্স ডিগ্রিতে পুরোনো গ্রেডিং পদ্ধতিতে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ন্যূনতম সিজিপিএ একটিতে ৩.৫০ ও অন্যটিতে ৩.৩০ থাকতে হবে বলে উল্লেখ ছিল। এছাড়াও বর্তমানে প্রচলিত পদ্ধতিতে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের ক্ষেত্রে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তরের একটিতে ন্যূনতম সিজিপিএ ৩.৫০ এবং অন্যটিতে ৩.৪০ থাকতে হবে বলা হয়েছিল।
কিন্তু বাংলাদেশে ফিজিক্যাল এডুকেশন অ্যান্ড স্পোর্টস সাইন্স নতুন বিষয় হওয়ায় নিয়োগদানের জন্য বিজ্ঞপ্তি দিয়েও সে সময় শিক্ষক পাওয়া যায় নি বলছেন শিক্ষক নিয়োগ শাখার ডেপুটি রেজিস্ট্রার মো. হাছান মিয়া।
তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগের নিয়ম হলো আবেদনের শেষ দিনের মধ্যেই রেজাল্ট প্রকাশ হতে হবে। নয়তো আবেদন বাতিল বলে গণ্য হবে৷ ২০১৮ সালে যখন স্পোর্টস সায়েন্স বিভাগে শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়, তখন চার-পাঁচ জন প্রার্থী পাওয়া গিয়েছিল। কিন্তু তাদের মাস্টার্সের রেজাল্ট প্রকাশ হতে হতে আমাদের আবেদনের সময় শেষ হয়ে যাওয়ায় তাদেরকে নিয়োগ দেয়া সম্ভব হয় নি।
এদিকে বর্তমান উপাচার্যের দায়িত্ব গ্রহণের চতুর্থ বর্ষে এসে গত ৪ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৪৩ তম সিন্ডিকেটে বিভাগের শিক্ষক নিয়োগের পুনঃনির্ধাণের বিষয়ে এক সদস্যের একটি কমিটি গঠিত হয়। কমিটিতে নিয়োগ দেওয়া হয় আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবদুল্লাহ আল ফারুককে।
সর্বশেষ অনুষ্ঠিত ৫৪৪ তম সিন্ডিকেটে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগের যোগ্যতা শিথিল করে যে সুপারিশ করেন এতে দেখা যায়, বিভাগে কর্মরত কর্মকর্তাদের আত্মীকরণের মাধ্যমে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ-সহ প্রভাষক পদে নিয়োগের যোগ্যতা শিথিল করা হয়েছে। এছাড়াও সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করা হয় নি সিজিপিএ অথবা গ্রেড। যা ২০১৮ সালের বিজ্ঞাপ্তিতে সুস্পষ্ট ছিল। এ নিয়ে একাধিক সিন্ডিকেট সদস্য বিরোধিতা করেছেন এবং শিক্ষক মহলে শুরু হয়েছে বিরূপ প্রতিক্রিয়া।
সুপারিশে বলা হয়েছে, পুরোনো ডিভিশন পদ্ধতিতে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের ক্ষেত্রে অনার্স ও মাস্টার্স ডিগ্রিতে কমপক্ষে দ্বিতীয় শ্রেণি/বিভাগ থাকতে হবে। তাছাড়া স্বীকৃত কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা বিশ্ববিদ্যালয় হতে প্রথম বিভাগ-সহ বিপিএড এবং এমপিএড ডিগ্রি থাকতে হবে।
এতে আরও বলা হয়েছে, চবি শারীরিক শিক্ষা বিভাগে বর্তমানে কর্মরত উপরোক্ত যোগ্যতাসম্পন্ন কর্মকর্তা যাদের ফিজিক্যাল এডুকেশন অ্যান্ড স্পোর্টস সায়েন্স বিভাগে বিভিন্ন তত্ত্বীয় ও ব্যবহারিক কোর্সে খন্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে পাঠদানের অভিজ্ঞতা রয়েছে তাদের বর্তমান পদমর্যাদা ও অন্যান্য যোগ্যতাকে যথাযোগ্য পদে রূপান্তরপূর্বক নিয়োগ বা আত্মীকরণ করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে তাদের বর্তমান বেতন স্কেল ও মূল বেতন ব্যক্তিগত স্কেল ও বেতন হিসেবে বহাল রাখা যেতে পারে।
এছাড়াও বিভাগ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন তত্ত্বীয় ও ব্যবহারিক কোর্সে খন্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে একাধিকক্রমে কমপক্ষে ৫ বছর পাঠদানের অভিজ্ঞতা রয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রী (এমফিল/পিইচডি) রয়েছে, কিন্তু শিক্ষা জীবনের যে কোন স্তরে দু'টি ১ম শ্রেণি/বিভাগ রয়েছে তারা প্রভাষক পদে আবেদনের জন্য যোগ্য হিসেবে বিবেচিত হবেন। তবে, শিক্ষা জীবনের কোন পর্যায়ে তৃতীয় শ্রেণি/বিভাগ থাকলে প্রার্থীতা বিবেচিত হবে না বলেও সুপারিশ করা হয় প্রতিবেদনে।
এদিকে নতুন করে আবারও বিজ্ঞপ্তি দিলে যোগ্য শিক্ষক পাওয়া যাবে বলছেন সিন্ডিকেট সদস্য ড. নঈম হাছান আওরঙ্গজেব চৌধুরী। তিনি বলেন, অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতোমধ্যে অনেকেই স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর সম্পূর্ণ করে বেরিয়েছেন। এখন পুনরায় বিজ্ঞাপন দিলে যোগ্য শিক্ষক পাবো বলে আমার বিশ্বাস।
এছাড়া শিক্ষক নিয়োগের নীতিমালা সম্পর্কিত একটি গুরুত্বপূর্ণ কমিটি এক সদস্যবিশিষ্ট হওয়া যৌক্তিক নয় বলে মনে করেন এই সিন্ডিকেট সদস্য। তিনি বলেন, এক্ষেত্রে একাধিক শিক্ষকের সমন্বয়ে একটি প্রতিনিধিত্বশীল কমিটি গঠন করে সিদ্ধান্ত নেওয়া দরকার ছিল।
অন্যদিকে শিক্ষক নিয়োগের এই যোগ্যতা শিথিলের বিষয়টিকে অদ্ভুত সিদ্ধান্ত বলে মন্তব্য করেছেন সিন্ডিকেট সদস্য মোহাম্মদ আলী। তিনি বলেন, বর্তমানে একাডেমিক ফলাফল সিজিপিএ হিসেবে বিবেচিত হয়। কিন্তু এ নীতিমালায় পুরোনো পদ্ধতির দ্বিতীয় শ্রেণি/বিভাগকে শিক্ষক নিয়োগের যোগ্যতা রাখা হয়েছে। বর্তমানে এ যোগ্যতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগের যুগ আর নেই। তাছাড়া প্রশাসন এক সদস্যের কমিটি করে সেখানে আত্মীকরণের নামে 'আত্মীয়করন'র চেষ্টা করছে। প্রশাসন শিক্ষক নিয়োগের যে নীতিমালা পুনঃনির্ধারণ করেছে তা খুবই অদ্ভুত৷
বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী যোগ্য শিক্ষক পাওয়া যাবে কি-না তা বুঝতে হলে প্রয়োজন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে দেখা। কিন্তু সেটি না করেই যোগ্যতা শিথিল করে নিয়োগের নীতিমালা প্রণয়ন করাকে স্বার্থান্বেষী ও ভিন্ন উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের পন্থা বলে মনে করছেন চবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আব্দুল হক।
তিনি বলছেন, আমাদের শিক্ষক প্রয়োজন আছে, তাই কিছু শিথিল করা যায়। কিন্তু একেবারে তলানিতে নিয়ে এসে নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থে একটা নূন্যতম কাঠামো আমাদের ধরে রাখতে হবে। ২০১৮ সালে শিক্ষক পায় নি। কিন্তু গত পাঁচ বছরে স্পোর্টস সায়েন্সে দেশে বহু যোগ্য প্রার্থী ডিগ্রি নিয়ে বের হয়েছেন। প্রশাসন পুনঃবিজ্ঞাপন না দিয়ে যোগ্যতাকে তলানিতে নিয়ে গেছে। এখানে উপাচার্য-সহ সংশ্লিষ্টদের ব্যাক্তি স্বার্থ থাকতে পারে।
তিনি আরও বলছেন, শিক্ষক নিয়োগের নীতিমালা পুনঃনির্ধারণের জন্য গঠিত এক সদস্যের ওই কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হলে সেটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগের কাঠামোকে দুর্বল করে দিবে। এটা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি মান রক্ষা করে চলতে হবে। তাই, এমন কোন উদাহরণ হওয়া উচিত নয়, যা ভবিষ্যত শিক্ষক নিয়োগে জটিলতা সৃষ্টি করবে।
পুনরায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয়া নিয়ে আরেক সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. শামীম উদ্দিন খান বলেন, আমরা ৫৪৪ তম সিন্ডিকেট সভায় শিক্ষক প্রতিনিধি হিসেবে বারবারই বলেছি পুনরায় বিজ্ঞাপনের বিষয়ে। কারণ, এখানে জরুরি ভিত্তিতে শিক্ষক প্রয়োজন। ৮ বছরেও একটা ব্যাচ বের হতে পারে নি। এটা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের বড় ব্যর্থতা। আমরা চাই যোগ্য এবং মেধাবীরা শিক্ষক হোক।
সিন্ডিকেট সূত্রে জানা গেছে, যোগ্যতা শিথিলের এ সুপারিশ ৫৪৪ তম সিন্ডিকেটে উত্থাপিত হলেও বিষয়টির অনুমোদনে ঐক্যমত হয় নি। তাই, এটিকে সিদ্ধান্ত হিসেবে গ্রহণ করা যায় না। তবে, নিয়মানুযায়ী সিন্ডিকেট সভার ১৫ দিনের মধ্যে কার্যবিবরণী দেওয়ার কথা থাকলেও প্রশাসন তা দেয় প্রায় দেড় মাস পর। বিলম্বে পাঠানো কার্যবিবরণীতে যোগ্যতা শিথিলের এ সুপারিশকে সিদ্ধান্ত হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
সিদ্ধান্ত গৃহীত না হলেও যোগ্যতা শিথিলের সুপারিশকে সিদ্ধান্ত হিসেবে অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে উদ্বেগ জানিয়ে একাধিক সিন্ডিকেট সদস্য উপাচার্য বরাবর চিঠিও দিয়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) কে এম নূর আহমেদ বলেন, ওনারা চিঠি দিয়েছেন। এটা আগামী সিন্ডিকেটে আলোচনা করা হবে।
তিনি আরও বলেন, পুরাতন বিজ্ঞপ্তির যোগ্যতা অনুযায়ী শিক্ষক না পাওয়ায় নতুন করে যোগ্যতা শিথিল করা হয়েছে। তাছাড়া, শারিরীক শিক্ষা বিভাগের কয়েকজন কর্মকর্তা স্পোর্টস সায়েন্স বিভাগে পার্টটাইম ক্লাস নেয়। তাদের মধ্যে একজনকে আত্মীকরণের মাধ্যমে শিক্ষক হিসেবে নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
যোগ্য শিক্ষকের খোঁজে নতুন করে বিজ্ঞপ্তি দেয়া হচ্ছে না কেন প্রশ্নের জবাবে রেজিস্ট্রার কোন মন্তব্য করতে রাজি হোন নি। তিনি এ বিষয়ে বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবুল মনছুর সাহেবের সাথে কথা বলতে বলেন।
দেশে স্পোর্টস সায়েন্সে তেমন ভালো কোন শিক্ষক পাওয়া যাচ্ছে না বলে মন্তব্য করেন ফিজিক্যাল এডুকেশন অ্যান্ড স্পোর্টস সায়েন্স বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবুল মনছুর। তিনি বলেন, আমাদের শিক্ষক খুবই প্রয়োজন। কিন্তু দেশের স্পোর্টস সায়েন্সের উপর তেমন ভালো কোন শিক্ষক পাওয়া যাচ্ছে না। সেজন্য কমপক্ষে দ্বিতীয় শ্রেণিতে উত্তীর্ণদের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগের সিদ্ধান্ত হয়। আর এই নিয়ম শুধু এবারের জন্যই নির্দিষ্ট।
তিনি আরও বলেন, খন্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে পাঠদানের অভিজ্ঞতা রয়েছে এমন ডেপুটি ডিরেক্টরদের একজন শিক্ষক হবেন। শারিরীক শিক্ষা বিভাগে কর্মরত ডেপুটি ডিরেক্টররা শুরু থেকেই এই বিভাগের ব্যবহারিক ক্লাস নিচ্ছেন এবং বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করছেন। তাই, খণ্ডকালীন দায়িত্ব পালন করার মাধ্যমে তারা অভিজ্ঞতা লাভ করেছেন। তাদের থেকে একজনকে আত্মীকরণের বিষয়ে সুপারিশ হয়েছে। উপাচার্য যাকে ভালো মনে করবেন তাকে আত্মীকরণ করে নিবেন।
এ বিষয়ে উপাচার্যের মন্তব্য জানতে অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতারের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেন নি।
সময় জার্নাল/এলআর