শাহিনুর ইসলাম প্রান্ত, লালমনিরহাট প্রতিনিধি:
লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলায় শিক্ষক শাহ আলম ও তার পরিবারের উপর হামলা ও লুটপাটকারীদের গ্রেফতার দাবিতে মানববন্ধন করেছেন শিক্ষার্থীরা।
শনিবার(১৬ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার বারাজান উচ্চ বিদ্যালয় গেটে মানববন্ধন করেন ওই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা। হামলার শিকার সহকারী শিক্ষক শাহ আলম সপরিবারে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
পুলিশ, শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা জানান, উপজেলার উত্তর গোপাল রায় গ্রামের কৃষক জালাল উদ্দিনের স্ত্রী মোহছেনা বেগমের ধান ক্ষেত নষ্ট করে গত ৯ সেপ্টেম্বর মাছ শিকার করেন একই এলাকার মৃত আবুল হোসেনের ছেলে সেনামুল হক সেনা(৩২) ও তার লোকজন। এর প্রতিবাদ করায় কৃষক মোহছেনা বেগমকে হত্যার চেষ্টা করলে প্রাণ ভয়ে প্রতিবেশি স্কুল শিক্ষক শাহ আলমের বাড়িতে আশ্রয় নেন ওই গৃহবধূ। মোহছেনাকে আশ্রয় দেয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে সেনামুল হক সেনা দলবল নিয়ে ওই স্কুল শিক্ষকের বাড়িতে হামলা চালায়।
এ সময় হামলাকারীরা স্কুল শিক্ষককের বাড়ির গেট ভেঙ্গে ভিতরে গিয়ে দেশি অস্ত্রে গৃহবধূ মোহছেনাকে আঘাত করে। তাকে বাঁচাতে গেলে স্কুল শিক্ষক শাহ আলম, তার ছেলে সৌরভ, স্ত্রী শাপলা বেগম এবং গৃহবধূ মোহছেনার স্বামী ও সন্তানরা এগিয়ে এলে তাদের ১০জনে এলোপাতারী ভাবে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে হামলাকারীরা। এ সময় তারা স্কুল শিক্ষক শাহ আলমের ঘরের আসবাবপত্র ভাংচুর করে লুটপাট করে। খবর পেয়ে পুলিশ এলে হামলাকারীরা ছটকে পড়ে।
স্থানীয়রা আহত ১০জনকে প্রথমে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরে আশংকাজনক অবস্থায় শিক্ষক শাহ আলম, তার স্ত্রী শাপলা বেগম ও ছেলে সৌরভকে রংপুর মেডিকেল কলেজে ভর্তি করে। এ ঘটনায় গৃহবধু মোহছেনা বেগম বাদি হয়ে সেনামুল হক সেনাকে প্রধান করে ১৩জনের বিরুদ্ধে কালীগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
এ দিকে শিক্ষক শাহ আলম ও তার পরিবারের উপর হামলা ভাংচুর লুটপাটকারীদের দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্ঠান্ত মুলক শাস্তির দাবিতে বারাজান উচ্চ বিদ্যালয় গেটে মানববন্ধন করেছেন বিদ্যালয়টির শিক্ষক শিক্ষার্থী ও স্থানীয় অভিভাবকরা। বক্তব্য রাখেন- সুমাইয়া আরফিন সুমি, আসমানী আক্তার, মাহ্ফুজা আক্তার তুলফা, সমাপ্ত , প্রিয়াস রায়, সামছুল ইসলাম, মারিয়া সুলতানা, আসামনী আক্তার, আরশি খন্দকার প্রমূখ।
কালীগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) ইমতিয়াজ কবির বলেন, ঘটনার দিন খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এমআই