ঢাবি প্রতিনিধি : ‘প্রথম বর্ষ থেকে আবাসিক হলে বৈধ সিট শিক্ষার্থীদের অধিকার। গ্রামের অনেক শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে অপরিচিতি এবং অসহায়ত্বে ভোগে। এর সুযোগ নিয়ে বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক দলগুলো শিক্ষার্থীদের গণরুমে তোলে এবং রাজনীতিতে ব্যবহার করে। ফলে পড়াশোনা নিয়ে শিক্ষার্থীরা হতাশায় ডুবে যায়।’
সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২ টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অপরাজেয় বাংলার সামনে ‘বৈধ সিট আমার অধিকার’ ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তারা এসব কথা বলেন।
ছাত্র ফেডারেশনের ঢাবি শাখার আহ্বায়ক আরমানুল হক বলেন, যে সরকারই ক্ষমতায় থাকে তারাই গণরুমে শিক্ষার্থীদের রেখে রাজনীতিতে ব্যবহার করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮০ ভাগ শিক্ষার্থী গ্রাম থকে আসা। তাদের অপরিচিতি এবং অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে গণরুমে তোলা হয়। আমি জসীম উদ্দীন হলের শিক্ষার্থী ছিলাম। ২০১৮ সালের দিকে আমাদেরকে প্রতিদিন রাত ৯টা থেকে ১২ টা পর্যন্ত গেস্টরুম করানো হতো। মধুর ক্যান্টিনে নেতার পিছে গিয়েছি কি না, নেতা ব্যাডমিন্টন খেলার সময় নেতাকে প্রটোকল দিয়েছি কি না, ফুলার রোডে কাপল মেরেছি কি না এসব হিসেব নেওয়া হতো। এভাবে একটা শিক্ষার্থীকে এসবে অভ্যস্থ করে ফেলা হয়।
তিনি আরও বলেন, একটি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান অবশ্যই আবাসিক হতে হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে যে প্রাচ্যের অক্সফোর্ড বলা হয় তার একটি কারণ এখানে আবাসিক সুবিধা দেওয়া হয়। আজকে এখানে কৃত্রিমভাবে আবাসিক সংকট তৈরী করে রাখা হয়েছে। ঢাকা কলেজ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষার্থীরা এসে থাকে। এখানে প্রত্যেক শিক্ষার্থী নিজের যোগ্যতায় চান্স পেয়েছে, কারো গোলামি করতে নয়৷ (আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে) সামনে রাজনৈতিক দলগুলোর মাঝে সংঘর্ষ হতে পারে। আমরা আশঙ্কা করছি সেখানে হলের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করা হবে। তাই আমরা উপাচার্য এবং হল প্রাধ্যক্ষ বরাবর কীভাবে সিট সংকট কমানো যায়সহ বিস্তারিত উল্লেখ করে স্মারকলিপি দেবো।
অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী জয়নুদ্দিন সরকার তন্ময় বলেন, শিক্ষার্থীরা তাদের অধিকার আদায়ে নেমে আসলে তখনই কেবল তারা দাসত্ব থেকে মুক্তি পাবে। সিট কারো দয়াদাক্ষিণ্যের বিষয় নয়।
ছাত্র ফেডারেশনের ঢাবি শাখার সদস্য সচিব উমামা ফাতেমা বলেন, মেয়েদের হলগুলো একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ সিট ক্ষমতাসীন দলের হাতে ছেড়ে দেওয়া হয়। ২০১৯ সালে আমরা যখন প্রভোস্টদের কাছে যাই তখন কেউ কেউ আমাদের এমনও বলেছেন যে, ছাত্রলীগ একটি এত বড় সংগঠন, তাদের ব্যাপারে তো বিবেচনা করতেই হয়।
এসজে/আরইউ