বুধবার, সেপ্টেম্বর ২০, ২০২৩
সময় জার্নাল ডেস্ক:
ঋতুচক্রে শুরু আশ্বিন মাস। রবি বা শীতকালীন সবজি, যেমন- বাঁধাকপি, ফুলকপি, লাউ, শিম, টমেটো, ওলকপি, শালগম, ব্রোকলি, লেটুস, আগাম জাতের ব্রাসেলস স্প্রাউট এবং বেগুনের উন্নত জাতের বীজ বুনতে পারেন।
ছাদ বাগানে ড্রাম বা টবে বা বেডে ভালোভাবে মাটি তৈরি করে সরাসরি বীজ বপন করে লালশাক, পালংশাক, পুইশাক চাষ করতে পারেন।
লাউ ও শিমের বীজ বপনের জন্য ৭৫ সেন্টিমিটার চওড়া এবং ৬০ সেন্টিমিটার গভীর টব বা ড্রাম বা বেড ভালো। লাউ ও শিমের জন্য বেড বা টব বা কাটা ড্রামের অর্ধেক সমান আয়তন মাটির সঙ্গে এক বছরের পুরোনো শুকনো পচা গোবর সার, ১০০-১৫০ গ্রাম টিএসপি এবং ৫০-৭০ গ্রাম এমওপি সার মিশিয়ে মাটি তৈরি করে নেবেন।
৭-১০ দিন পর মাটি ওলটপালট করে প্রতি বেডে বা ড্রামে বা টবে ৪-৫টি সবল বীজ বপন করবেন। চারা গজানোর ১৫-২০ দিন পর ২ বার করে ১০০-১৫০ গ্রাম ইউরিয়া ও ৫০-৭০ গ্রাম এমওপি সার প্রয়োগ করবেন। যারা একদমই রাসায়নিক সার ব্যবহার করতে চান না, তারা চাইলে শুধু জৈব সার দিতে পারেন।
লাউ, শিম, বরবটি জাতীয় লতানো সবজির চারা লাগানোর পর গাছগুলো বড় হতে থাকলে মাচা তৈরি করে দেবেন। লতানো সবজির দৈহিক বৃদ্ধি যত বেশি হয়, তার ফুল-ফল ধারণ ক্ষমতা তত কম হয়। তাই ১৫-২০% লতা-পাতা কেটে দিতে হবে। তাহলে গাছে দ্রুত ফুল ও ফল ধরবে।
লাউয়ের শতভাগ পরাগায়ন ও বেশি ফলন নিশ্চিত করতে হাতপরাগায়ন অপরিহার্য। গাছে ফুল ধরা শুরু হলে প্রতিদিন ভোরবেলা হাতপরাগায়ন নিশ্চিত করলে ফলন অনেক বেড়ে যাবে।
বিভিন্ন প্রকার শাক, যেমন- মুলাশাক, লালশাক, পালংশাক, ডাঁটাশাক ইত্যাদি প্রায় সব ধরনের মাটিতে সহজেই চাষ করতে পারেন। বেড বা টবের মাটিতে শাকের বীজ ছিটিয়ে দেওয়ার পর একটি জাল বা মশারি দিয়ে বেড বা টব ঢেকে দেবেন। কারণ অনেক সময় পাখি এসে বীজ ও অঙ্কুর খেয়ে ফসলের ক্ষতি করতে পারে।
পূর্ববর্তী মাসের সবজি বা ফসল ফসল সংগ্রহ করার পর বীজ সংরক্ষণ করতে পারেন। কাঁচা বাজারে মসলা জাতীয় ফসল রসুন, পিঁয়াজের দাম দিন দিন বেড়েই চলেছে।
তারপরও দৈনন্দিন রান্নায় এর প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। ফলে তা উপলব্ধি করেও কিনতে হয়। ছাদ বাগানে এখনই সময় রসুন ও পিঁয়াজের বীজ লাগিয়ে চারা করার। যেন সারাবছর নিজের উৎপাদিত ফসল থেকেই চাহিদা মেটাতে পারেন।
যারা বেডে বা ড্রামে সবুজ সার ব্যবহার করেন, তারা মাটির সঙ্গে ভালোভাবে মিশিয়ে, মাটিতে মেশানোর ৭-১০ দিন পর চারা রোপণ করতে পারেন। সবজি ফসল ২-৩ দিনের বেশি সময়ের জন্য জলাবদ্ধতা মোটেই সহ্য করতে পারে না। তাই বেশি বৃষ্টিপাতের কারণে গাছের গোড়ার পানি নিয়মিত নিষ্কাশন করতে হবে।
এ মাসের শেষে তাপমাত্রা হ্রাস পায় ও শুষ্কতা বাড়ে অর্থাৎ আর্দ্রতা কমতে থাকে। তাই গাছের গোড়ার আগাছা নিড়িয়ে সার প্রয়োগ করতে হবে। গাছের গোড়ায় মাটি তুলে দিতে হবে। সঠিকভাবে আগাছা ব্যবস্থাপনা কৌশল জানা থাকলে ফলন অনেকাংশে বৃদ্ধি করা সম্ভব।
জৈব উপায়ে আগাছা নির্মূল করা যায়। আগাছানাশকের সঠিক মাত্রা বিধি মেনে প্রয়োগ করতে হবে। সরাসরি রোদ ছাড়া ভোরে অথবা সন্ধ্যায় গাছে পানি এবং কীটনাশক প্রয়োগ করা উচিত।
সময় জার্নাল/এলআর