বুধবার, সেপ্টেম্বর ২০, ২০২৩
মো. জাহিদুল হক, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি:
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপাচার্যের বাসভবন ও পরিবহন দপ্তরে ভাংচুরের মামলা থেকে বাংলা বিভাগের ২ শিক্ষার্থীকে অব্যাহতির দাবিতে মানববন্ধন করেছেন বিভাগটির শিক্ষার্থীরা। মামলার আসামী বাংলা বিভাগের দুই শিক্ষার্থী হলেন ৫৪তম ব্যাচের অনিরুদ্ধ বিশ্বাস রুদ্র ও মো. আজিমুজ্জামান।
বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে ব্যানার নিয়ে মানববন্ধন করেন বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
মানববন্ধনে বাংলা বিভাগের ১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী বোরহান উদ্দিন বলেন, গত ৭ তারিখ শাটল ট্রেন দুর্ঘটনায় আমাদের বন্ধু আজিমুজ্জামান ও অনিরুদ্ধ বিশ্বাস কে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়। আমরা দু’জনকেই ব্যাক্তিগতভাবে চিনি। দুর্ঘটনার দিন আজিমুজ্জামানকে আহত শিক্ষার্থীদের সাহায্য করতে দেখা গেছে। সে ভাঙচুরের ঘটনায় কোনোভাবেই জড়িত নয়। তারপরও তাকে মামলা দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া অনিরুদ্ধ বিশ্বাস ক্যাম্পাসে পরিচিত মুখ। তার রেজাল্ট অনেক ভালো। সে এ ধরণের ধ্বংসাত্মক কাজের সাথে জড়িত থাকতে পারে না। আমরা চাই প্রশাসন যাতে অনতিবিলম্বে মিথ্যা মামলা থেকে তাদের অব্যাহতি দেয়।
বাংলা বিভাগের ১৯ -২০ সেশনের আরেক শিক্ষার্থী শাওন ফারাবি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোন ধরনের সুষ্ঠু তদন্ত ছাড়াই মামলা দিয়েছে। সেদিন ন্যায্য অধিকার আদায়ের জন্য আন্দোলন করায় আজ তাদের সামাজিক ভাবে হেনস্তার শিকার হতে হয়েছে। যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুল্যবান সম্পদ ভাঙচুর করেছে তাদের শাস্তির আওতায় আনা হোক এটা আমরাও চাই। কিন্তু সেটা হতে হবে সুষ্ঠু তদন্তের ভিত্তিতে। তাই নিরপরাধ সাধারণ শিক্ষার্থীদের সামাজিক হেনস্তার হাত থেকে রক্ষা করে অতি দ্রুত মামলা প্রত্যাহার দাবি জানাচ্ছি প্রশাসনের নিকট।
মানববন্ধন শেষে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর স্মারক লিপি প্রদান করেন। এসময় চবি প্রক্টর ড.নুরুল আজিম শিকদার বলেন, সুষ্ঠু আন্দোলনের ব্যাপারে আমাদের কোন দ্বিমত নেই শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলন করবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু যারা সেদিন ধ্বংসাত্মক কাজ করেছে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে। তবে এই কাজে যাদের কোন ধরনের সম্পৃক্ততা নেই আমরা তাদের মুক্তির ব্যবস্থা করাটা আমাদের দায়িত্ব। তোমাদের সাথে আমরা সর্বদা আছি এবং আমরা এটা নিয়ে কাজ করতেছি, তোমরা আমাদের সহযোগিতা করলে আসল দোষীকে চিহ্নিত করা সহজ হবে।
উল্লেখ্য, এর আগে ৭ (সেপ্টেম্বর) বৃহস্পতিবার শাটল ট্রেনের ছাঁদে করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ক্যাম্পাসে ফেরার সময় ঝুলে থাকা গাছের ডালপালার ধাক্কায় অন্তত ১৬ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। কয়েকজন ছাদ থেকে ছিটকে পড়ে যান।
এতে ক্ষুব্ধ হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবন, নিরাপত্তা দপ্তর, শিক্ষক-কর্মচারীবৃন্দের বাসসহ বিভিন্ন জায়গায় ভাঙচুর চালান বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনায় শনিবার দুটি মামলা করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। প্রতিটি মামলায় সাতজন করে ১৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরও এক হাজার জনকে আসামি করা হয়।
এমআই