স্পোর্টস ডেস্ক:
আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের ঘরের মাঠে প্রতিপক্ষ নিউজিল্যান্ড। তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটিতে মিরপুরে মুখোমুখি হবে দুই দল। এই ম্যাচ দিয়েই জাতীয় দলে প্রত্যাবর্তন ঘটছে তামিম ইকবাল ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের।
ঘরের মাঠে ১০ বছর পর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ খেলতে মাঠে নামছে বাংলাদেশ। সর্বশেষ বাংলাদেশের মাঠে দুই দল শেষ ওয়ানডে খেলেছিল ২০১৩ সালে। সেই ম্যাচের ভেন্যু ছিল নারায়ণগঞ্জের খান সাহেব উসমান আলী স্টেডিয়াম, যেখানে এখন আর গড়ায় না কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ।
আর শেষ দেখায় দুই দলের একাদশে থাকা ক্রিকেটারদের মাঝে কেবল মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ আছেন এবারের সিরিজের দলে। ২০১৩ সালের ওই সিরিজে নিউজিল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করেছিল বাংলাদেশ। এর আগের দেখায়ও (২০১০ কিউইদের হোয়াইট ওয়াশ করে টাইগাররা)।
টানা দু’বার বাংলাদেশের কাছে হোয়াইটওয়াশ হবার পর আর এদেশে আসেনি কিউইরা। অবশেষে এবার এলো তারা ভারত বিশ্বকাপকে সামনে রেখে, শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি নিতে। একই লক্ষ্য বাংলাদেশেরও। দুই দলের কাছেই বেশ গুরুত্বপূর্ণ এই সিরিজটা।
অবশ্য, দুই দলই মাঠে নামবে পূর্ণ শক্তি ছাড়াই। নিউজিল্যান্ডের নিয়মিত ক্রিকেটারদের অনেকেই আসেননি এই সফরে। নেই নিয়মিত অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনও। স্বাগতিকদেরও একই চিত্র, নিয়মিত অধিনায়ক সাকিব আল হাসানসহ গুরুত্বপূর্ণ ছয় ক্রিকেটার নেই দলে।
সাকিব, মুশফিক না থাকলেও তামিম ইকবাল ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সার্ভিস পাবে দল। অবশ্য, উভয়েই দলে ফিরেছেন দীর্ঘ সময় পর। চোট কাটিয়ে তামিম দু'মাস আর রিয়াদ দলে এসেছেন ছয় মাস পর। বিশ্বকাপের আগে নিজেদের ঝালিয়ে নিতে তাই এই সিরিজকে বেছে নিয়েছেন উভয়ে।
নিয়মিত অধিনায়ক সাকিবের অনুপস্থিতি দলকে নেতৃত্ব দেবেন লিটন দাস৷ সর্বশেষ আফগানিস্তান সিরিজে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তিনি। লিটন দলে পাচ্ছেন সৌম্য সরকার, এনামুল হক বিজয়, মোস্তাফিজুর রহমানদের।
দুই দলের দেখায় সর্বোচ্চ ১০১০ রান রস টেলরের। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৬৭৬ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের। ৬৫৯ রান মুশফিকুর রহিমের, ৬৫৬ রান তামিম ইকবালের ও ৬৩৯ রান করেন সাকিব আল হাসান। সর্বোচ্চ ৩৭ উইকেটও সাকিবের দখলে। ২৫ উইকেট রুবেল হোসেনের।
সব মিলিয়ে দুই দল মুখোমুখি হয় ৩৮ ম্যাচে। যেখানে ২৮ জয় নিউজিল্যান্ডের। আর ১০ বার বিজয়ী হাসি হেসেছে বাংলাদেশ। যেখানে ঘরের মাঠে খেলা ১৩ ম্যাচের ৮টাতেই জিতেছে টাইগাররা।
সময় জার্নাল/এলআর