চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি:
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রলীগের দুই উপ গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। আজ বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকাল পোনে ৫টা থেকে পোনে ৬টা পর্যন্ত শাহ-আমানত হল ও শাহ-জালাল হলের সামনে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন। এর মধ্যে ৫ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
সংঘর্ষে জড়িত শাখা ছাত্রলীগের দু'টি গ্রুপের নাম 'সিএফসি' ও 'সিক্সটি নাইন'। সিএফসির কর্মীরা চবি শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি রেজাউল হক রুবেলের অনুসারী এবং সিক্সটি নাইনের কর্মীরা শাখা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপুর অনুসারী।
সিএফসির নেতা সাদাফ খান বলেন, আকিব জাবেদ নামে সিক্সটি নাইনের এক কর্মী এর আগে আমাদের উপ-দপ্তর সম্পাদক রমযানকে কুপিয়ে জখম করে। আজকেও সে নেশা করে হলের সামনে উশৃংখল আচরণ শুরু করে। বিষয়টি দেখে আমাদের কর্মীরা বাঁধা দিলে সংঘর্ষ শুরু হয়। এরপর কথা কাটাকাটির জের ধরে ঘটনা সংঘর্ষে রূপ নেয়। সংঘর্ষে আমাদের পাঁচ-ছয় জন কর্মী আহত হয়েছে। এর মধ্যে ৩ জনকে দ্রুত চিকিৎসার জন্য চমেকে পাঠানো হয়েছে।
অন্যদিকে শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সিক্সটি নাইনের নেতা সম্রাট বলেন, আমাদের একটা ছেলে ওদের হলের সামনে দিয়ে আসলে ওদের (সিএফসি) কয়েকটা ছেলে মিলে ওকে উত্যক্ত করতে থাকে। এর মধ্যে ছিল শাখা ছাত্রলীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক রমজান। পরে আমাদের জুনিয়রটা ওদের প্রতিবাদ করলে ওরা তাকে মারধর করে এবং হেলমেট পরে অস্ত্রশস্ত্রসহ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে আহত আমাদের ৩ জনকে চিকিৎসার জন্য চমেকে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মোহাম্মদ নূরুল আজিম সিকদার বলেন, শাখা ছাত্রলীগের দুই পক্ষের নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকেই হাটহাজারী অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে পরিস্থিতি স্থিতিশীল করার চেষ্টা করেছি।
এমআই