বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি:
ব্যক্তি আক্রোশে এক শিক্ষার্থীকে বারবার অকৃতকার্য দেখিয়ে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) বিলুপ্ত ইটিই (বর্তমানে ইইই) বিভাগে। বিষয়টি ধামাচাপা দিতে একাডেমিক কাউন্সিলের এজেন্ডাভুক্ত করা হয় নি বলেও অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, বিলুপ্ত ইটিই বিভাগের ২০১৩-২০১৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী অঞ্জন রয় পরীক্ষা দিয়ে পাশ করলেও একাধিকবার তাকে অকৃতকার্য দেখিয়ে বারবার পরীক্ষা নেয়া হয়। এমনকি রেজাল্ট ইনপুট না দেয়ায় শিক্ষা জীবনের প্রায় দশ বছর পেরিয়ে গেলেও সেই শিক্ষার্থী তার ফলাফল পায় নি। বারবার ফেইল দেখানো কোর্সটি নেন বর্তমান পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক হালিমা খাতুন এবং সেই সময় পরীক্ষা কমিটির সভাপতি ছিলেন পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ও বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. মোঃ শাহজাহান। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক রুটিন উপাচার্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
এদিকে এ বিষয়টি ইইই (সি) বিভাগের চেয়ারম্যান ড. আরিফুজ্জামান রাজীব প্রশাসনের দৃষ্টিগোচরে আনেন। আগামী রবিবারের (২৪ সেপ্টেম্বর) একাডেমিক কাউন্সিলে এজেন্ডাভুক্ত না করে বিষয়টি বাদ রাখা হয়েছে। আর এতো বড় অপরাধের বিষয়ে একাডেমিক কাউন্সিলের এজেন্ডাভুক্ত না করায় বিস্ময় প্রকাশ করেছেন ইইই (সি) বিভাগের শিক্ষক- শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের দাবি, বিষয়টি ধামাচাপা দিতে ও অপরাধীকে বাঁচাতে একাডেমিক কাউন্সিলের এজেন্ডা থেকে বাদ দিয়ে নিজেরা আলোচনা করতে চেয়েছেন।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মোঃ দলিলুর রহমান বলেন, উপাচার্যের সিদ্ধান্তে বিষয়টি এজেন্ডা ভুক্ত করা হয় নি। এ বিষয়ে মন্তব্য করবো না।
এ বিষয়ে বশেমুরবিপ্রবি উপাচার্য একিউএম মাহবুবকে ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেন নি।
এদিকে বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। এর আগেও বিশ্ববিদ্যালয়টিতে একাধিকবার মার্ক টেম্পারিং এর ঘটনা ঘটেছে। অপরাধীরা সাময়িক বরখাস্তের মত ক্ষুদ্র শাস্তি পেয়েছেন কখনোবা তদন্তের নামে সময়ক্ষেপণ করা হয়েছে। ফলে বেড়েই চলেছে মার্ক টেম্পারিং এর মতো গুরুতর অপরাধ।
এমআই