মাহবুবুল হক খান, দিনাজপুর প্রতিনিধি:
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম মোজাম্মেল হক এমপি জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচার দাবি করে বলেছেন, জিয়াউর রহমানের শাসন আমল থেকেই গুম, খুন ও বিনা বিচারে হত্যার রাজনীতি শুরু হয় এই দেশে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করে খুনি জিয়া হত্যার রাজনীতি শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় খুনি খালেদা ও তার কুলাঙ্গার পুত্র তারেক রহমান গুম খুন ও বিনা বিচারে হত্যার রাজনীতি অব্যাহত রাখে।
শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর-২০২৩) দুপুরে দিনাজপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে ‘মায়ের কান্না’ সংগঠন আয়োজিত জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের শাসনামলে গুম-খুনে ভুলন্ঠিত মানবাধিকার শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে একুশবার হত্যার চেষ্টা চালানো হয়। হাওয়া ভবনে এসব গুম, খুন ও হত্যার পরিকল্পনা করা হতো।
তিনি বলেন, রায়ের ৬ মাস আগেই সেনাবাহিনী সদস্যদের ফাঁসি দেওয়া হয়েছিল। রায় ঘোষণা করা হয়েছিল ছয়মাস পর। ১৯৭৭ সালে যাদের হত্যা করা হয়েছিল তাদের লাশও পরিবারকে দেওয়া হয়নি। ক্লিনহার্ট অপারেশনের নামে এবং ২০১৩ ও ১৪ সালে অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে শত শত মানুষকে হত্যা করা হয়েছে, জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে বাস ট্রাকসহ অমূল্য সম্পদ।
বিশেষ অতিথি জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি বলেন, খুনের রাজনীতি শুরু করেছেন জিয়াউর রহমান। তার পথ ধরে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান দেশে খুন, অগ্নি সন্ত্রাস, অরাজকতা সৃষ্টি করে দেশকে অকার্যকর করার অপচেষ্টা চালিয়েছে। জাতীয় সংসদ এলাকা থেকে জিয়ার কবর অন্যত্র সরানোর দাবি জানিয়ে সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা নাহিদ এজাহার খান এমপি বলেন, অগ্নি সন্ত্রাস, হত্যা, মানুষ পুড়িয়ে হত্যার দায়ে তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের কাঠগড়ায় আনার দাবি জানানো হয়।
মায়ের কান্না সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা নাহিদ এজাহার খান এমপি'র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আহসানুল হক চৌধুরী ডিউক এমপি, ফুয়াদ চৌধুরী, গণ ফাঁসী ৭৭ প্রামান্যচিত্র নির্মাতা প্রমুখ। অনুষ্ঠানে ভুক্তভোগীদের সন্তান, মাতা-পিতা এবং ভুক্তভোগীগণ উপস্থিত ছিলেন।
এমআই