সাইফ ইব্রাহিম, ইবি প্রতিনিধি:
চাকরির বয়সসীমা বৃদ্ধি ও পোষ্যকোটায় ভর্তিতে শর্ত শিথিল করাসহ ১৬ দফা দাবিতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) কর্মকর্তাদের চলমান আন্দোলন স্থগিত করা হয়েছে।
রবিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) আন্দোলনের ৬১ তম দিনে এসে উপাচার্যের আশ্বাসে আন্দোলন স্থগিত করেন তারা।
এ দিন বেলা আড়াইটায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালামের সাথে সাক্ষাৎ করেন দাবি আদায় গঠিত 'ন্যায্য অধিকার বাস্তবায়ন কমিটি'। এ সময় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া এবং বঙ্গবন্ধু পরিষদের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।
এসময় উপাচার্য তাদের ন্যায় সঙ্গত সকল দাবি বাস্তবায়নের আশ্বাস দেন। এবং দাবিসমূহ বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে নির্দেশনা প্রদান করা হয়। কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি এটিএম এমদাদুল আলম এ তথ্যটি নিশ্চিত করেন।
পরে বিকাল ৪টায় সংক্ষিপ্ত সমাবেশে ন্যায্য অধিকার বাস্তবায়ন কমিটির সর্বসম্মত সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে এটিএম এমদাদুল আলম আন্দোলন স্থগিত ঘোষণা করেন। এসময় তিনি বলেন, 'আমরা আমাদের ন্যায়সঙ্গত এবং যৌক্তিক দাবিতে আন্দোলন করেছি। অনেকেই আমাদের আন্দোলনের বিরোধিতা করেছেন। আমাদের বিরুদ্ধে নানা অপবাদ, অপপ্রচার চালিয়েছেন।
এমনকি আমরা এই দাবির জন্য যারা আন্দোলন করেছিলাম তাদের উপর সুপরিকল্পিতভাবে আঘাতও হেনেছিলো। নানা বাধা বিপত্তি সত্ত্বেও আমরা অটল ছিলাম। বঙ্গবন্ধু পরিষদ আমাদের দাবির সাথে একাত্মতা পোষণ করেছেন। আজকে তাদের নেতৃবৃন্দসহ উপাচার্যের সাথে আমরা বসেছিলাম।
উপাচার্য আমাদের ন্যায় সঙ্গত সবগুলো দাবি বাস্তবায়নের আশ্বাস দিয়েছেন। তার আশ্বাসে আমরা আপাতত আমাদের আন্দোলন স্থগিত করছি। কিন্তু এবারও যদি আশ্বাসের নামে ছলচাতুরি করা হয় তাহলে আমরা পরবর্তীতে আরো কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলবো।'
এছাড়া কর্মকর্তাদের তাদের কাজে ফিরে যাওয়ার নির্দেশনা দিয়ে তিনি আরও বলেন, 'আমাদের দাবি আদায়ে যে আন্দোলন করেছিলাম, তাতে কর্মকর্তাদের, শিক্ষকবৃন্দের এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কাজে অনেক ক্ষতি হয়েছে। এটাই সত্য। তাই আপনারা আপনাদের টেবিলে ফিরে যাবেন। দয়া করে একটু বেশি পরিশ্রম করে হলেও পেন্ডিং যে কাজগুলো রয়েছে সেগুলো দ্রুত সময়ে শেষ করবেন।'
এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, 'তাদের দাবি যৌক্তিক হলে আমরা অবশ্যই বিবেচনা করবো। দাবিগুলো যৌক্তিক, নিয়ম ও সরকারী অনুশাসনের ভেতরে থাকতে হবে। সভায় আমাদের শিক্ষক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। আমরা সম্মিলিতভাবে বিষয়টি দেখবো। আমাদের প্রশাসন থেকে কোনো কার্পণ্য থাকবে না। তাদের ন্যায্য পাওনা থেকে আমরা বঞ্চিত করবো না।'
সময় জার্নাল/এলআর