ঢাবি প্রতিনিধি : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক থেকে সহযোগী অধ্যাপকে পদাবনি হওয়া মেজবাহ-উল-ইসলাম প্রতিহিংসা শিকার। ভিন্নমত ধারণ করেন বলেই তাকে পদাবনতি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন উদ্বেগ প্রকাশ করেছে শিক্ষকদের সংগঠন ইউনিভার্সিটি টিচার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইউট্যাব)।
রোববার (১ অক্টোবর) সংগঠনটির মহাসচিব মোর্শেদ হাসান খান সাক্ষরিত এক সংবাদ বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিবৃতিতে সংগঠনের সভাপতি এ বি এম ওবায়েদুল ইসলাম ও মহাসচিব বলেন, 'অসদাচরণ ও শৃঙ্খলা পরিপন্থী অভিযোগে গত ২৭ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মেজবাহ্-উল-ইসলামকে পদাবনতি দিয়ে অধ্যাপক থেকে সহযোগী অধ্যাপক করা হয়েছে। এটা অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক ঘটনা। অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মেজবাহ্-উল-ইসলাম একজন পরিচিত ও খ্যাতিমান শিক্ষক। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল নিয়ম-কানুন মেনেই অধ্যাপক হয়েছিলেন। কিন্তু তার বিরুদ্ধে সহকর্মীর সঙ্গে অসদাচরণ ও মারধরের যে অভিযোগ তোলা হয়েছে তা অত্যন্ত হাস্যকর ও নিন্দনীয়। এ কথা সকলের কাছে অবিশ্বাস্য যে একজন অধ্যাপক আরেকজন সহকর্মীর গায়ে হাত তুলতে পারেন। তবে এ কথা বলতে দ্বিধা নেই যে, অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মেজবাহ-উল-ইসলাম বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আদর্শে বিশ্বাসী একজন শিক্ষক। তিনি ভিন্নমত ধারণ ও বিশ্বাস করেন বলেই তার বিরুদ্ধে এ ধরনের হীন ও জঘন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।'
তারা আরও বলেন, 'ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্ষমতাসীন দলের শিক্ষকবৃন্দ বড় ও ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করলেও তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। এখন ২০১৮ সালের একটি তথাকথিত ভিত্তিহীন অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রায় ৫ বছর পর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মেজবাহ-উল-ইসলামকে পদাবনতির ঘটনা উদ্বেগজনক। অতএব শিক্ষক সমাজ মনে করে যে, তথাকথিত এবং অবিশ্বাস্য অভিযোগে অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মেজবাহ-উল-ইসলামকে পদাবনতি দেওয়াটা কেবলই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আমরা দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এ ধরনের ঘটনায় হতবাক এবং তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সেইসঙ্গে অবিলম্বে অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মেজবাহ্-উল-ইসলামের বিরুদ্ধে যে বেআইনী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তা প্রত্যাহার এবং তাকে স্বপদে বহাল রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাই।'
উল্লেখ্য, গত ২৭ সেপ্টেম্বর বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরামের বৈঠকে সহকর্মীকে মারধরের অভিযোগ প্রমাণওত হওয়ায় অধ্যাপক মেজবাহ-উল-হককে অধ্যাপক থেকে সহযোগী অধ্যাপক করা হয়েছে।
এসজে/আরইউ