গোলাম আজম খান, কক্সবাজার:
কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বড়ো ধরনের অস্থিরতা সৃষ্টির পরিকল্পনা করছে মিয়ানমারের সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আরসার প্রধান আতাউল্লাহ জুনুনি। নিরীহ রোহিঙ্গাদের খুন অপহরণ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে প্রথমে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পরে কক্সবাজার জেলা সহ এর আশপাশের এলাকায় অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করতে চায় আরসা প্রধান। র্যবের অভিযানে গ্রেপ্তার আরসা'র প্রধান আতাউল্লাহ’র একান্ত সহকারী এবং অর্থ সমম্বয়ক মোহাম্মদ এরশাদ ওরফে নোমান চৌধুরী প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এই তথ্য জানিয়েছে।
আজ সোমবার দুপুরে কক্সবাজার র্যাব-১৫ কার্যালয়ে এক প্রেসব্রিফিংয়ে অধিনাক লে: কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন এতথ্য জানান।
গতকাল রবিবার রাতে কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত নোমান বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু কোনার পাড়ার সাব্বির আহমদের ছেলে।
লে কর্নেল সাজ্জাদ প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, গোয়েন্দা সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব জানতে পারে, কক্সবাজারের উখিয়া কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মিয়ানমারের সন্ত্রাসী সংগঠন আরসা'র প্রধান আতাউল্লাহ’র একান্ত সহকারী এবং অর্থ সমম্বয়ক মোহাম্মদ এরশাদ ওরফে নোমান চৌধুরী অবস্থান করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে রাতেই অভিযান পরিচালনা করে র্যাব। র্যাবের অভিযান টের পেয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় তাকে গ্রেপ্তার করে।
লে: কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন আরও জানান, গ্রেপ্তারকৃত নোমানের বিরুদ্ধে ২০২২ সালের ১৪ নভেম্বর বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু বাজার সংলগ্ন সীমান্তবর্তী কোনারপাড়ায় মািয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন আরসার সন্ত্রাসীদের ধরতে যৌথ অভিযান পরিচালনা করার সময় গোলাগুলিতে রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআইয়ের কর্মকর্তা স্কোয়াড্রন লীডার রিজওয়ান রুশদী নিহতের ঘটনা সাথে জড়িত।
গ্রেপ্তারকৃত নোমান প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আরসা প্রধান আতাউল্লাহ'র সাথে সম্পর্কের কথা স্বীকার করে। সে দীর্ঘদিন ধরে আতাউল্লাহ তাকে তার একান্ত সহকারী ও সার্বক্ষনিক অস্ত্রধারী বডিগার্ড হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত ছিল। এছাড়াও হুন্ডির মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্য এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আরসার জন্য প্রেরিত অর্থের প্রধান সমন্বয়ক হিসেবে কাজ করে এবং প্রাপ্ত অর্থ আরসা'র বিভিন্ন ক্যাম্প কমান্ডারদের মাঝে পৌঁছে দেয় বলে সে স্বীকার করে। সে আরসা'র জন্য ইউনিফরমের কাপড়, ঔষধ সামগ্রী, ওয়াকিটকি, ল্যান্ড মাইন এবং অন্যান্য সরঞ্জামাদি কেনা-কাটা করে বলে জানায়। আরসা প্রধান আতাউল্লাহ'র নেতৃত্বে রোহিঙ্গাদের মাধ্যমে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার অন্যতম ব্যক্তি হিসেবে কাজ করে বলে সে জানায়।
এর আগেও আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা) এর শীর্ষ সন্ত্রাসী আসামী হাফেজ নুর মোহাম্মদ, রহিমুল্লাহ প্রকাশ মুছা সহ ৬০ জন আরসা সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করে র্যাব।
এমআই