নুসরাত জাহান, জবি প্রতিনিধি:
বিয়ে করলে ছাত্রীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে থাকতে পারবে না, বাসে ছাত্র-ছাত্রীরা একসাথে বসতে পারবে না-এটা দুখজনক ও অযোক্তিক সিদ্ধান্ত। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা এরকম সিদ্ধান্ত নেয় কিভাবে? এটা তো সৌদি আরব না এটা বাংলাদেশ। এখন সৌদি আরবে ও নারীরা চাকরী করার সুযোগ পাচ্ছে।
মন্ত্রী আরো বলেন, এসব সিদ্ধান্ত কিভাবে হয়, কোথা থেকে হয়, কার মাথা থেকে আসে, সেটি খতিয়ে দেখা দরকার। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে শিক্ষামন্ত্রীকে জানানো হবে। মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) সাংবাদিকদের এমনটাই বলেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ডঃ দীপিকা রানী সরকারের স্বাক্ষরিত একটি নোটিশে বলা হয় আবাসিকতা লাভ ও বসবাসের শর্তাবলি এবং আচরণ ও শৃঙ্খলাসংক্রান্ত বিধিমালা ২০২১ এর ১৭ নম্বর ধারা মোতাবেক বিবাহিত ও গর্ভবর্তী ছাত্রীরা আবাসিক সিট (আসন) পাবে না। বিধায় তারা অতি দ্রুত হলের সিট ছেড়ে দেবে। অন্যথায়, তাদের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এছাড়াও বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, ‘আবাসিক ছাত্রীদের যাদের স্নাতকোত্তর পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ হয়েছে, তারা অতি দ্রুত হল ত্যাগ করবে। কোনো মানোন্নয়ন (মাস্টার্স) পরীক্ষার্থী, এম.ফিল ছাত্রী হলে থাকতে পারবে না।
এছাড়া ও, অন্য একটি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় জবির পরিবহনগুলোতে আসন সংকট ও র্যাগিং রোধে মেয়ে শিক্ষার্থীরা বাসের নিচ তলায় ও ছেলে শিক্ষার্থীদের বাসের উপর তলায় বসার নির্দেশ দেন এবং সকল ধরনের বাস কমিটি নিষিদ্ধ করেন।
সময় জার্নাল/এলআর