ইমরান মাহফুজ:
লেখক ও ফটোসাংবাদিক সুদীপ্ত সালামের জন্মদিন আজ। তিনি ৪ অক্টোবর ১৯৮৩ সালে জন্মগ্রহণ করেন ঢাকায়। লেখালেখি করছেন অনেকদিন। এক যুগের অধিক ফটোসাংবাদিকতার জীবনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা গল্পের মাধ্যমে নানান সময়ে বর্ণনা করে চলছেন। পরিচিত পেয়েছেন আলোচিত ছবি প্রকাশ করে।
তার প্রসঙ্গে কবি নজরুল ইসলামের একটা বাক্য মনে পড়ে। ‘আমরা চলিব পশ্চাতে ফেলি পচা অতীত, গিরি-গুহা ছাড়ি খোলা প্রান্তরে গাহিব গীত।’ সালাম ভাই এমন ভাবনায় চলেন। তিনি বিশ্বাস করেন- তারুণ্যের শক্তিতে উদ্বেলিত হয়ে পুরাতনকে ভেঙে, সংস্কার করে নতুন কিছু করাই যেন তারুণ্যের ধর্ম। তারুণ্য মানব জীবনের সাহসী, সংগ্রামী ও সৃজনশীলতার পর্ব। তার চিন্তা- কালো মেঘের আড়ালে লুকিয়ে থাকা দীপ্তিমান সূর্যের মতো। নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয় তার চিন্তা...
সুদীপ্ত সালামের কাজের সঙ্গে আমারও পরিচয় প্রায় এক যুগ। ভালো লাগে একজন মানুষ ছবি ধারণ করার পাশাপাশি কথা বলে এবং লিখে। এমন গুণ কম আছে। যাদের আছে তারা আলাদা হন সময়ে ও সমাজে। আমাদের বিলকিছ আলম পাঠাগারে ' ফটোসাংবাদিকের নোটবুক' ও আলোকচিত্রপুর' বই দুটি আছে। অনেকে পড়েছে।
পরিবারের সঙ্গে লেখক ও ফটোসাংবাদিক সুদীপ্ত সালাম
আমি নিজেও দেখেছি তার বইয়ে দেশের ফটোসাংবাদিকতার অনেক অজানা গল্প রয়েছে। এমন গল্পগুলো আমাদের জানা দরকার, দরকার মানে নতুন গল্পের সঙ্গে পরিচয় হওয়া আনন্দের এই অর্থে! গতমাসে বের হয়েছে 'ফটোগ্রাফী শিক্ষা'। দুর্লভ এই বইটি অনেকের কাজে লাগবে। প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমার বিশ্বাস, শুধু ফটোসাংবাদিক বা আলোকচিত্রীরাই এই বই পড়ে আনন্দিত হবেন না—সাধারণ পাঠকেরাও পাবেন আনন্দ ও চিন্তার খোরাক।’
উল্লেখ্য, সালাম ভাইয়ের পেশা ফটোসাংবাদিকতা হলেও গল্প, অনুবাদ, কবিতা, প্রবন্ধ ও সম্পাদনা মিলিয়ে তাঁর গ্রন্থ সংখ্যা ১৮। লেখালেখি ও সাংবাদিকতার জন্য তিনি পেয়েছেন অগ্রণী ব্যাংক-বাংলাদেশ শিশু একাডেমি শিশুসাহিত্য পুরস্কার, ইউনিসেফের মীনা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড। এছাড়া তিনি পেয়েছেন ব্র্যাক মাইগ্রেশন মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড, ইন্টারন্যাশনাল ফটোগ্রাফিক স্যালন অব জাপান, রিডার্স ডাইডেস্ট আনসিন এশিয়া পুরস্কারসহ বেশকিছু পুরস্কার।
এমআই