এম. পলাশ শরীফ, বাগেরহাট :
বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জে তিনটি ইউনিয়নের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম শ্রেনী খালি হয়ে সোনাখালী বাজার অভিমুখি ৫ কিলোমিটারের ইট সোলিং রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরে বেহাল দশা। নদীগর্ভে ভেঙ্গে পড়েছে এশটি অংশ। জনদুর্ভোগ এখন চরমে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার পুটিখালী ইউনিয়নের সোনাখালী ইট সোলিং রাস্তাটি থেকে প্রতিনিয়ত বহরবুনিয়ার ইউনিয়নের ফুলহাতা, পঞ্চকরনের পঞ্চকরণ, কুমারিয়াজোলা, দেবরাজ, সোনাখালী গ্রামের ৩টি ওয়ার্ডে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার মানুষের বাস। প্রতিনিয়ত ৮/১০ হাজার মানুষের চলাচলের জনগুরুত্বপূর্ন এ সড়কটি ৫/৬ বছর ধরে খানা খন্দে পরিনত হয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে আছে।
সম্প্রতি সময়ে রাস্তাটির একটি অংশ পানগুছি নদী গর্ভে প্রায় ২ কিলোমিটার ধসে পড়েছে। তাৎক্ষনিক জেলা সড়ক ও জনপদ (পাউবি) অধিদপ্তরের মাধ্যমে ৪শ’ মিটার মাটির কাজ করে সাময়িক নিয়ন্ত্রনে নেওয়া হয়েছে রাস্তাটির কিছু অংশ। ইট সোলিং উঠে গিয়ে বিভিন্নস্থানে খানাখন্দে পরিনত হয়েছে। যে কারনে প্রতিনিয়ত ঘটছে যাত্রীবাহী ব্যাটারি চালিত ইজিবাইক, মোটর সাইকেল দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে।
নদীর তীরবর্তী বাসিন্দাদের বসতবাড়ি ঘর হুমকির মুখে রয়েছে। উপজেলা শহরে প্রাণকেন্দ্রে ১০ কিলোমিটারের দুরত্ব জেলা শহরে ১২ কিলোমিটার দূরাত্বে এ রাস্তাটি থেকে প্রতিনিয়ত চলাচল করতে হয় ৫ গ্রামের মানুষের। রয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রাথমিক বিদ্যালয় ২টি, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ২টি, কলেজ ১টি, মাদ্রাসা ১টি ও কমিউনিটি ক্লিনিক ১টি এ প্রতিষ্ঠানগুলো রয়েছে ঝুঁকিপূর্ন অবস্থানে। এ গুরুত্বপূর্ন রাস্তাটি জরুরী ভিত্তিতে সংস্কার ও নদীর তীরবর্তী সাড়ে ৯ কিলোমিটারের স্থায়ী বেরিবাঁধ দিয়ে চলাচলের গুরুত্বপূর্ন এ রাস্তাটি টিকিয়ে রাখার জোর বাদী জানান স্থানীয়রা।
এ বিষয়ে সীমান্তবর্তী পঞ্চকরণ ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক মজুমদার বলেন, সোনাখালীর এই গুরুত্বর্পূন রাস্তাটি নদীগর্ভে ভেঙ্গে যাচ্ছে। বিষয়টি স্থানীয় সংসদ সদস্য এ্যাড. আমিরুল আলম মিলন বাগেরহাট জেলা সড়ক ও জনপদ বিভাগের প্রকৌশলীকে সাথে নিয়ে সরেজমিনে পরিদর্শন করেছেন। এখানকার ওয়াপদা ভেরিবাঁধের অসামাপ্ত কাজেরও দ্রুত শেষ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে জানান আব্দুর রাজ্জাক মজুমদার।
পুটিখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুর রাজ্জাক শেখ বলেন, জনদুর্ভোগ লাঘবে গুরুত্বপূর্ন এ রাস্তাটি অতীব জরুরী ভিত্তিতে সংস্কার করা প্রয়োজন। তিনি এ বিষয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্যকে অবহিত করেছেন।
এ সর্ম্পকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, সোনাখালী রাস্তাটি ভেঙ্গে যাওয়ার বিষয়ে তিনি খোঁজ নিয়ে উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের অবহিত করবেন।
সময় জার্নাল/ইএইচ