নিজস্ব প্রতিবেদক:
শিক্ষক সমাবেশের মধ্য দিয়ে চলতি মাসের ৭ তারিখ থেকে টানা কর্মসূচি পালন করবে বিএনপি। ১৮ অক্টোবর ঢাকায় জনসমাবেশের মধ্য দিয়ে লাগাতার এই কর্মসূচি শেষ হবে।
বৃহস্পতিবার (০৫ অক্টোবর) কুমিল্লা-চট্টগ্রাম রোডমার্চ থেকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই কর্মসূচি ঘোষণা করবেন বলে দলটির একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
জানা যায়, বিএনপির পাশাপাশি যুগপৎ আন্দোলনে শরিকরাও এই কর্মসূচি পালন করবে।
টানা কর্মসূচি শুরুর আগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে ৯ অক্টোবর ঢাকাসহ জেলা ও মহানগরে মিছিল-সমাবেশ, ১৪ অক্টোবর অনশন, এক দফা দাবিতে ১২ অক্টোবর ঢাকায় ছাত্র কনভেনশন ও ১৬ অক্টোবর যুব কনভেনশন হবে।
এদিকে আজ দুপুরে কুমিল্লা-ফেনী-মিরসরাই-চট্টগ্রামে বিএনপির রোডমার্চের সময় বুড়িচং উপজেলার কালাকচুয়ায় সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সরকার যে ভোটচোর এটা আজ সারা পৃথিবী জানে। কোনো অগণতান্ত্রিক সরকারকে দেশের মানুষ আর চায় না। তাই নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার দিতে হবে। এই সরকারের অধীনে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া বিএনপি কোনো নির্বাচনে যাবে না।
সরকার উন্নয়নের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা দুর্নীতি করছে জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমরা কেউ ভালো নেই। লুটেরা, ফ্যাসিবাদী সরকার অত্যাচার নির্যাতন করে বুকের ওপর বসে আছে। তারা উন্নয়নের নামে লুট করেছে, ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের মতো আইন করে কথা বলার অধিকার কেড়ে নিয়েছে। ভোটের অধিকার হরণ করেছে। বিচার ব্যবস্থা ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে শেষ করে দিয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকার থাকলে দেশ ধ্বংস হয়ে যাবে। কথা পরিষ্কার-হাসিনার অধীনে আমরা নির্বাচনে যাব না।’
মির্জা ফখরুল বলেন, আর ভোট চুরি করতে দেওয়া হবে না। দাবি একটাই আমরা সুষ্ঠুভাবে ভোট দিতে চাই। রোডমার্চের মধ্যদিয়ে সরকারকে জানিয়ে দিচ্ছি এখনও সময় আছে পদত্যাগ করেন, নয় তো জনগণ জানে কীভাবে ক্ষমতা থেকে নামাতে হয়।
প্রধানমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্র থেকে কিছু আনতে পারেননি জানিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, আমেরিকা থেকে সরকার খালি হাতে ফিরেছে। বহু চেষ্টা করেও নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে পারেনি তারা।
উল্লেখ্য, ক্ষমতাসীন সরকারের পদত্যাগ, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন, খালেদা জিয়ার মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর দাবিতে ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজকের রোডমার্চ করছে দলটি।
এমআই