আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
নির্ধারিত সেই সময়ের আগেই ভারত থেকে একাধিক কূটনীতিককে সরিয়ে নিয়েছে কানাডা সরকার। সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল ভারত সরকার।
জানা গেছে, কানাডার বেশ কিছু কূটনীতিককে রাজধানী দিল্লি থেকে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল ভারত সরকার। আগামী ১০ অক্টোবর পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। সেই নির্ধারিত সময়ের আগেই ভারত থেকে কূটনীতিকদের সরিয়ে নিলো ট্রুডো সরকার। জানা গেছে, নয়া দিল্লি থেকে কানাডার এসব কূটনীতিকদের সিঙ্গাপুর অথবা কুয়ালালামপুরে সরিয়ে নিয়ে গেছে কানাডা।
খালিস্তানি বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা হরদীপ সিং নিজ্জরের হত্যাকেকেন্দ্র করে ভারত-কানাডার মধ্যে বিরোধের পরই এই নির্দেশ দিয়েছিল ভারত সরকার। ভারত সরকারের পক্ষ থেকে কানাডার ৪১ জন কূটনীতিককে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
যদি ১০ অক্টোবরের মধ্যে কানাডা রাষ্ট্রদূতদের সরিয়ে না নেয়, তবে তাদের কাছ থেকে কূটনৈতিক সুরক্ষা কেড়ে নেওয়া হবে। এমনটাই জানিয়েছিল ভারত সরকার। এরপরই রাষ্ট্রদূতদের সরিয়ে নিলো ট্রুডো সরকার।
কানাডার একটি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, একসঙ্গে ৪১ জনকে নয়, ধাপে ধাপে কানাডা ভারতে থাকা কূটনীতিকদের সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। এরই মধ্যে বেশ কয়েকজন রাষ্ট্রদূতকে ভারত থেকে সরিয়ে সিঙ্গাপুর অথবা কুয়ালালামপুরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
কানাডার কূটনৈতিক ও কনসুলার সম্পর্কের দায়িত্বে থাকা গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স কানাডা-র পক্ষে দাবি করা হয়েছে, একাধিক কানাডার কূটনীতিককে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্ল্যাটফর্মে হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
সতর্কতা হিসেবেই আপাতত ভারতে কূটনীতিকদের সংখ্যা কমানো হচ্ছে। যদিও ভারতের পক্ষে এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়নি।
সময় জার্নাল/এলআর