নিজস্ব প্রতিনিধি:
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত মেডিক্যাল বোর্ড এক সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে।
সোমবার (৯ অক্টোবর) সকালে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালের ১১ তলার মিলনায়তনে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। মেডিকেল বোর্ডের পক্ষ থেকে এ কথা জানানো হয়েছে।
দুই মাসের বেশি সময় ধরে এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়া। গত ৯ আগস্ট তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
চিকিৎসকরা বলছেন, খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হওয়ার পাশাপাশি কিডনি সমস্যায় ভুগছেন। তাঁর হার্টের তিনটি ব্লকের মধ্যে একটিতে রিং পরানো হয়েছে। বিভিন্ন সময়ে তার পেটে পানি জমে যায়। তখন তাকে সিসিইউতে নেওয়ার প্রয়োজন পড়ে। এছাড়া আর্থরাইটিস, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, দাঁত ও চোখের প্রদাহ, হৃদরোগসহ বিভিন্ন জটিলতায় ভুগছেন তিনি। যে কারণে দেশে খালেদা জিয়ার সম্পূর্ণ চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব নয়।
মেডিকেল বোর্ডের সূত্র জানায়, লিভারের মূল সমস্যার চিকিৎসা না হওয়ায় খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের নতুন নতুন সমস্যা বা উপসর্গ দেখা দিচ্ছে এবং জটিলতা বাড়ছে। তারা জটিলতা ও নতুন উপসর্গ ঠেকিয়ে রাখার চেষ্টা করছেন, যাতে রোগীর কষ্ট কম হয়।
চিকিৎসকরা অনেক দিন ধরে খালেদা জিয়ার লিভার প্রতিস্থাপনের জন্য বিদেশে নিয়ে চিকিৎসার পরামর্শ দিয়ে আসছেন।
মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শ অনুযায়ী গত ২৫ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসা করাতে তার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার অনুমতি চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন। তবে সরকার সেই আবেদন নাকচ করে।
২০২২ সালের জুনে এনজিওগ্রাম পরীক্ষায় তার হৃদযন্ত্রে তিনটি ব্লক ধরা পড়লে একটিতে রিং পরানো হয়।
দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হয়ে ২০১৮ সালে কারাগারে যান খালেদা জিয়া। দেশে কোভিড-১৯ মহামারি শুরু হলে পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ খালেদা জিয়াকে নির্বাহী আদেশে সাময়িক মুক্তি দেয় সরকার।
সময় জার্নাল/এলআর