আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ সংগঠন হামাসের সঙ্গে চলমান যুদ্ধে ইসরাইলের পক্ষে দেশটিতে সেনা পাঠানোর কোনো পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কিরবি সোমাবার এ কথা জানিয়েছেন।
বিবিসি ও জিও নিউজ মঙ্গলবার এ খবর দিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, জন কিরবি বলেন, ইসরাইলে সেনা পাঠানোর কোনো ইচ্ছা মার্কিন সরকারের নেই; তবে যুক্তরাষ্ট্র এই অঞ্চলে মার্কিন স্বার্থ রক্ষা করবে।
মুসলিমদের তৃতীয় পবিত্র ধর্মীয় স্থান আল-আকসা মসজিদের পবিত্রতা লঙ্ঘন এবং অবৈধ বসতিস্থাপনকারীদের অত্যাচারের জবাব দিতে গত শনিবার থেকে ইসরাইলে ‘অপারেশন আল-আকসা স্টর্ম’ নামে সামরিক অভিযান শুরু করে হামাস।
হামাসের হামলায় এখন পর্যন্ত নয় শতাধিক ইসরাইলি নিহত হয়েছে। এর মধ্যে বেশ কিছু সেনা সদস্য রয়েছে। অপরদিকে গাজায় ইসরাইলের ব্যাপক বিমান হামলায় সাত শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া উভয়পক্ষে কয়েক হাজার মানুষ আহত হয়েছে। গাজার প্রায় দেড় লাখ লোক উদ্বাস্তুতে পরিণত হয়েছে।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ইসরাইলি উপকূলে বিমানবাহী রণতরী পাঠানোর কথা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সেই সঙ্গে ইসরাইলে আরও সামরিক সহায়তার কথাও জানিয়েছে ওয়াশিংটন।
তবে ইসরাইলে মার্কিন সেনা পাঠানোর কোনো পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্রের নেই বলে স্থানীয় জানালেন হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কিরবি।
তিনি বলেন, ইসরাইলের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা সহায়তা চেয়ে আরও অনুরোধ আসতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। অনুরোধ আসলে যত দ্রুত সম্ভব পূরণ করার চেষ্টা করবে যুক্তরাষ্ট্র।
এ সময় ইরান প্রসঙ্গে কিরবি বলেন, হামাসকে সমর্থন করার ক্ষেত্রে ইরানের ‘জড়িত থাকা নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই’। তবে ইসরাইলে হামাসের হামলায় ইরান সরাসরি জড়িত ছিল- এমন কোনো শক্ত ও বাস্তবসম্মত প্রমাণ পায়নি যুক্তরাষ্ট্র।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন নিশ্চিত করেছেন যে, ইসরাইলে হামাসের হামলায় নিহতদের মধ্যে ১১ জন মার্কিন নাগরিক আছে। এ ছাড়া হামাসের হাতে বন্দিদের মধ্যেও যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক রয়েছেন বলেও জানান তিনি।
বাইডেন বলেন, আমরা এখনো বিষয়টা নিয়ে কাজ করছি যে, সেখানে কতজন বন্দি আছে। তবে এটা মোটামুটি ধরে নেওয়া যায় যে, হামাসের হাতে বন্দিদের মধ্যে আমেরিকানরা আছে।
এসজে/আরইউ