আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইসরায়েলের গাজা পুনর্দখলের কোনো উদ্দেশ্য নেই। তবে হামাসকে তারা নিশ্চিহ্ন করবে। এজন্য যা যা দরকার সবকিছু করবে দেশটি।
জাতিসংঘে ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত গিলাদ এরদান রবিবার (১৫ অক্টোবর) সিএনএনকে এমনটি জানিয়েছেন।
গিলাদ বলেন, গাজা দখল অথবা সেখানে থাকার কোনো ইচ্ছা আমাদের নেই। (প্রেসিডেন্ট বাইডেন যেমনটা বলেছেন) আমরা অস্তিত্ব রক্ষার জন্য লড়াই করছি। এজন্য যা যা দরকার সব করছি। হামাস আমাদের জন্য হুমকি। তার সব ক্ষমতা ধ্বংস করাই আমাদের উদ্দেশ্য। হামাসকে নিশ্চিহ্ন করাই আমাদের উদ্দেশ্য।
সিবিএস নিউজকে রবিবার (১৫ অক্টোবর) দেওয়া সাক্ষাৎকারে এক প্রশ্নের জবাবে বাইডেন বলেন, গাজায় যা ঘটছে তা বিশ্লেষণ করে দেখুন। দেখবেন সেখানে হামাস ও অন্য সশস্ত্র বাহিনী রয়েছে ঠিক, কিন্তু সাধারণ ফিলিস্তিনিও রয়েছে। হামাস ও অন্য সশস্ত্র বাহিনী সমস্ত ফিলিস্তিনির প্রতিনিধিত্ব করে না। তাই ইসরায়েলের ফের গাজা দখল হবে বড় ভুল। তবে গাজায় হামাস ও অন্য সশস্ত্র বাহিনীর বিরুদ্ধে ইসরায়েলের অভিযানকে আমরা পূর্ণ সমর্থন করি।
ইতঃপূর্বে দীর্ঘ দখলদারির পর ২০০৫ সালে গাজা ছাড়ে ইসরায়েল। পরের বছর ২০০৬ সালে সেখানে ক্ষমতায় আসে হামাস। এরপর ২০০৭ সাল থেকে গাজায় ইসরায়েল সীমান্ত হয়ে জ্বালানি, গ্যাস, পানি, ত্রাণসহ অন্য সামগ্রীর প্রবেশ সীমিত করে ইসরায়েল।
৭ অক্টোবর হামলা শুরুর পর ইতোমধ্যে অন্তত ২ হাজার ৬৭০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এর মধ্যে শিশু প্রায় ৭০০। আহত হয়েছে ১০ হাজারের বেশি। স্থানচ্যুত হয়েছে ১০ লাখের বেশি। ধ্বংস হয়েছে ১১ হাজারের বেশি ঘরবাড়ি, হাসপাতাল ও অন্য অবকাঠামো।
অন্যদিকে ইসরায়েলে নিহত হয়েছে প্রায় ১ হাজার ৪০০ জন। এর মধ্যে সেনা ২৮৬ জন।
গাজায় ঢোকার জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত হয়ে আছে ইসরায়েলি সেনা। সাঁজোয়া যান ও ট্যাংক পজিশনে নিয়ে গাজা সীমান্তে অপেক্ষা করছে ৩ লাখ ইসরায়েলি সেনা।
লেবানন ও সিরিয়া সীমান্তে রবিবার (১৫ অক্টোবর) ৪ কিলোমিটারের একটা বাফার জোন খোলার ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েল। অর্থাৎ উত্তর ফ্রন্টেও যুদ্ধের প্রস্তুতি নিয়েছে দেশটি।
সূত্র : সিএনএন
এসজে/আরইউ