মোঃ আবদুল্লাহ কাদের, মালদ্বীপ থেকে: বুধবার ( ১৮ অক্টোবর) মালদ্বীপস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনে যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের ৬০তম শুভ জন্মদিন ও শেখ রাসেল দিবস-২০২৩ উদযাপন করা হয় স্থানীয় সময় বিকাল ৪ ঘটিকায় মালদ্বীপস্থ ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সেমিনার হল রুমে। সেমিনারের আয়োজনে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হাই কমিশনার রিয়ার এডমিরাল এস এম আবুল কালাম আজাদ।
উল্লেখ্য মালদ্বীপে অবস্থিত ভারত, চীন, শ্রীলঙ্কা, অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য হাইকমিশনের কর্মকর্তা, মালদ্বীপ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাগন, মানবাধিকার কর্মী, শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক ও প্রবাসী বাংলাদেশী নাগরিকবৃন্দ সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন। দিবসটি উপলক্ষে মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত বাণী পাঠ করেন যথাক্রমে বাংলাদেশ হাইকমিশনের কাউন্সেলর(শ্রম) ও দূতালয় প্রধান মো: সোহেল পারভেজ এবং তৃতীয় সচিব চন্দন কুমার সাহা । অতঃপর শেখ রাসেল দিবস ২০২৩ উপলক্ষ্যে শেখ রাসেল দিবস এর তাৎপর্য বর্ননা করে বক্তব্য প্রদান করেন হাই কমিশনের কাউন্সেলর(শ্রম) ও দূতালয় প্রধান মো: সোহেল পারভেজ। তিনি শেখ রাসেল এর জীবনী, বঙ্গবন্ধুর সাথে শেখ রাসেলের বিভিন্ন বিভিন্ন কথোপকথন, শেখ রাসেলসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি উল্লেখ করেন। এই বর্বরতম হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে কিভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হয়েছে তা তিনি তুলে ধরেন।
অতঃপর শেখ রাসেল দিবস ২০২৩ উপলক্ষ্যে নির্মিত বিশেষ একটি প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়।
এরপর অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিবৃন্দ তাদের অনুভূতি ব্যক্ত করেন। তারা এধরনের অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য হাইকমিশনের প্রশংসা করেন এবং এ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তারা শেখ রাসেল ও বঙ্গবন্ধু পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। তারা এই নৃশংসতম হত্যাকাণ্ডের তথ্য জেনে খুবই ব্যথিত হয়েছেন। এই ধরনের আয়োজন ভবিষ্যতে শিশুদের প্রতি যে কোন ধরনের অত্যাচার এর বিরুদ্ধে সচেতনতা বৃদ্ধি ও বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখবে মর্মে তারা মতামত ব্যক্ত করেন।
মান্যবর হাই কমিশনার রিয়ার এডমিরাল এস এম আবুল কালাম আজাদ তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন খুনিরা বঙ্গবন্ধু, তার পরিবার এবং ব্যক্তি শিশু রাসেল কে হত্যা করলেও তাঁদের স্মৃতি ও চেতনা হত্যা করতে পারেনি। শেখ রাসেল এর স্মৃতি ছড়িয়ে দিতে ও বাংলাদেশের শিশুদের ভবিষ্যত উন্নত বাংলাদেশের উপযোগী করে গড়ে তুলতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। বিদ্যালয়সমূহে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন, বিভিন্ন স্থানে মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ। তিনি উল্লেখ করেন বাংলাদেশ শান্তিতে বিশ্বাস করে এমন ঘটনা যেন কোন শিশুর সাথে কোথাও না ঘটে সে লক্ষে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।
শেখ রাসেল-সহ ও ১৫ আগস্ট-এ শাহাদাতবরণকারী বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সকল শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা করা হয়। সবশেষে শেখ রাসেল দিবস ২০২৩ এর থিম সং এর মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের পরিসমাপ্তি ঘোষণা করা হয়। অনুষ্ঠান শেষে উপস্থিত সকলকে আপ্যায়ন করা হয়
এমআই