জেলা প্রতিনিধি:
ভাসমান প্রকল্পের সমন্বিত কৃষির আওতায় কেচকি পদ্ধতিতে সবজি চাষে কৃষকেরা লাভবান হচ্ছেন। রাস্তার ধারে ও রেল লাইনের পাশে কেচকি পদ্ধতিতে বস্তার মধ্যে সবজি চাষে সাড়া ফেলেছে কৃষি বিভাগ।
দিনাজপুরের বিরল উপজেলায় জেলায় সবজি চাষের এ ধারণা একেবারেই নতুন। বিরল উপজেলা কৃষি বিভাগ উদ্ভাবিত এ পদ্ধতিতে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন অনেক কৃষক। উপজেলার বাজনাহার রেল স্টেশনের সামনে, বিজোড়া, নাজরিন মিশন, মঙ্গলপুরসহ বিভিন্ন স্থানে এ পদ্ধতিতে সবজি চাষ হচ্ছে।
সরেজমিনে জানা যায়, রাস্তা ও রেল লাইনের পাশে পতিত ও জলাবদ্ধ জমির ওপর বাঁশের খুঁটি দিয়ে তৈরি কেচকিতে বস্তা বসানো হয়েছে। তাতে বপন করা হয় লাউ, শসা, শিম, পুঁইশাক, করলা, চালকুমড়া ইত্যাদি সবজি।
বিরল উপজেলা কৃষি বিভাগ জানায়, ভাসমান প্রকল্পের সমন্বিত কৃষির আওতায় কেচকি পদ্ধতিতে সবজি চাষে কৃষকেরা লাভবান হচ্ছেন। উপজেলায় এ পদ্ধতিতে পরীক্ষামূলক সবজি চাষ শুরু হয়েছে। কৃষি অফিস থেকে চাষিদের সার্বিক সহযোগিতা করা হচ্ছে।
কৃষক জহুরুল ইসলাম কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় বাড়ির কাছে ঠেলপীর এলাকায় এ পদ্ধতিতে ৮ প্রজাতির সবজি চাষ করেছেন। তিনি বলেন, ‘এরই মধ্যে প্রায় ৩ হাজার টাকার সবজি বিক্রি করেছি। এলাকার মানুষকে বিনা মূল্যে দিয়েছি। এবারের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে আগামীতে ভালোভাবে চাষ করতে পারবো।’
কৃষক আনিসুর রহমান বলেন, ‘কৃষি অফিসার যখন এ পদ্ধতির কথা বলেন; তখন বিশ্বাস হয়নি। এখন তো দেখে অবাক হচ্ছি। আমিও আমার পুকুরের পানির ওপর এ পদ্ধতিতে সবজি চাষ করবো।’
বিরল উপজেলা কৃষি অফিসার মোস্তফা হাসান ইমাম বলেন, ‘এটি নিজ ধারণা থেকে করেছি। কৃষকদের বলার পর তারা এগিয়ে এসেছেন। তাই সম্ভব হয়েছে। উপজেলায় পাঁচটি জায়গায় কেচকি পদ্ধতিতে সবজি চাষ হচ্ছে। কৃষকেরা বাজারে সবজি বিক্রি করতে শুরু করেছেন।’
সময় জার্নাল/এলআর