মেহরাজ হোসেন, মিরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে কাঁচা বাজারে আগুনের উত্তাপে পুড়ছে ভোক্তা সাধারণ। হিমশিম খেতে হচ্ছে জীবীকা নির্বাহ করতে। এতে নিম্নআয়ের মানুষ পড়েছে চরম বিপাকে। সংসারের চাকা ঘুরাতে গিয়ে ঘুরাতে হচ্ছে নিজেকে। দেশের বর্তমান মূল্যস্ফীতিতে ‘মরার উপর খাঁড়ার ঘা’ নেমে এসেছে নিম্ন আয়ের মানুষের জীবনে।
সরকারের বেঁধে দেয়া দামে মিলছে আলু এবং পেঁয়াজ। লাগামহীন বাজারে কারসাজি করে হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে লাখ লাখ টাকা। সবজির পর্যাপ্ত মজুদ থাকা সত্তে¡ও বাজার অস্থিতিশীল হওয়াতে বিপাকে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষরা।
কাঁচা বাজার করতে আসা আঞ্জন শর্মার বলেন, বাজারে এসে দেখছি ৮০ থেকে ১০০ টাকার নিচে কোনো সবজি পাওয়া যাচ্ছে না। ডিম কিনতে এসে দেখি প্রতি ডজন ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকা। আমাদের এখন না খেয়ে থাকা ছাড়া আর কোনো উপায় নাই। তেল আর পেঁয়াজ ছাড়া রান্না করতে বলেছি সহধর্মীনিকে।
বিভিন্ন যাত্রীবাহী বাসে ব্যাথার ঔষধ বিক্রি করে সংসার চালানো নুরুল আনোয়ার বলেন, ছেলে মেয়ে নিয়ে সংসার চালানো এবং তাদের পড়ালেখার খরচ সামলাতে নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। এক কথায় ভর্তুকি দিয়ে সংসার চালাতে হচ্ছে।
সরেজমিন উপজেলার বিভিন্ন বাজারে গিয়ে দেখা যায়, পেঁয়াজ ৮০ টাকা, আলু ৫৫ টাকা, শীতকালীন মুলা ৮০ টাকা, তিতা করলা ১০০টাকা, বেগুন ১০০ টাকা, গাঁজর ১২০ টাকা, ফুলকপি ১০০ টাকা, পটল ৮০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৮০ টাকা এবং টমেটো প্রতি কেজি ১০০ থেকে ১২০ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মিরসরাই উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মিজানুর রহমান বলেন, এখনো এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ পাইনি। তবে কেউ বাজারে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরী করতে চাইলে আমরা ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে তা নিয়ন্ত্রণ করবো। আমাদের তদারকি চলমান রয়েছে।
সময় জার্নাল/এলআর