জেলা প্রতিনিধি:
বিএনপির ডাকা দেশব্যাপী হরতাল কর্মসূচির দিন লালমনিরহাটে সংঘর্ষে জড়িয়েছে আওয়ামী লীগ-বিএনপি নেতাকর্মীরা। সংঘর্ষে জাহাঙ্গীর হোসেন (৪৮) নামে এক শ্রমিক লীগ নেতার মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহত হয়েছেন আওয়ামী লীগের দুই কর্মী। তাদের একজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হচ্ছে।
লালমনিরহাট জেলা আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক মেহেদী হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহত জাহাঙ্গীর সদর উপজেলার গোকুন্ডা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও স্থানীয় বাফার গোডাউন লোড-আনলোড শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং বেড়পাঙ্গা এলাকার আজিজার রহমানের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকাল থেকে লালমনিরহাটের বিভিন্ন স্থানে ঝটিকা মিছিল ও পিকেটিং করতে থাকে বিএনপির নেতাকর্মীরা। অন্যদিকে হরতালের বিপক্ষে বিভিন্ন স্থানে শান্তি সমাবেশ ও মিছিল করে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
একপর্যায়ে সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগর এলাকায় বিএনপি ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সংঘর্ষে জড়ায়। এ সময় প্রতিপক্ষের তিনজনকে কুপিয়ে জখম করে বিএনপি নেতাকর্মীরা।
গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে তাদের সদর হাসপাতাল ও পরে রংপুর মেডিকেলে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুরের দিকে জাহাঙ্গীর হোসেনের মৃত্যু হয়। আহত অন্য দুজন হলেন- মহেন্দ্রনগর ইউনিয়ন আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ ও আওয়ামী লীগ কর্মী বাবলু মিয়া। রাজু মিয়ার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।
এদিকে সকাল সাড়ে দশটার দিকে সাপ্টিবাড়ি বাজারে সড়কে অবস্থান নিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীরা হরতালের সমর্থনে বিক্ষোভ করতে থাকে। একপর্যায়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল আলম হরতালবিরোধী মিছিল নিয়ে বের হলে ধাওয়া পালটা ধাওয়া শুরু হয়। এসময় বিএনপির দুই কর্মীকে পিটিয়ে আহত করা হয়।
পরে সকাল ১১টার দিকে আদিতমারী উপজেলা বিএনপি অফিসের সামনে মিছিল নিয়ে যায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় সংঘর্ষ শুরু হলে উভয়পক্ষের দু’জন আহত হয়। এসময় বিএনপির অফিসের চেয়ার ও সাইনবোর্ড ভাঙচুর করে আওয়ামী লীগ সমর্থকরা। পরে সেখান থেকে পালিয়ে যায় বিএনপি নেতাকর্মীরা। বর্তমানে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হওয়ায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
লালমনিরহাট জেলা আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক মেহেদী হাসান বলেন, হরতাল ও সহিংসতার বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশে হামলা করে তিন আওয়ামী লীগ কর্মীকে কুপিয়ে জখম করে। জাহাঙ্গীর নামে একজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। আরও দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এমআই