মেহরাজ হোসেন, মিরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:
গতকাল বিএনপির মহাসমাবেশ থেকে মহাযাত্রার অংশ হিসেবে সারা দেশে হরতাল দেয়া হয়। রবিবার সারাদেশে দেয়া বিএনপি-জামায়াতের সকাল-সন্ধ্যা হরতালে রাজপথে নেই বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মীরা। রবিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত উপজেলার কোথাও কোনো ধরনের পিকেটিং এর ঘটনা ঘটেনি।
এদিকে হরতাল দিয়ে মাঠে জামায়াত-বিএনপি না থাকলেও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বিভিন্ন বাজারে ও বিভিন্ন ইউনিয়নে শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে অবস্থান নিয়েছে আওয়ামী লীগ যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। রবিবার সকাল ৭টায় মহাসড়কে মোটরসাইকেল মহড়া বের করেছে উপজেলা যুবলীগ-ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা।
উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক একেএম জাহাঙ্গীর ভুইয়া, পৌর মেয়র গিয়াস উদ্দিন ও পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাফর উদ্দিনের নেতৃত্বে অবস্থান নিয়েছে উপজেলা ও মিরসরাই পৌর আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ।
মিরসরাই সদর ইউনিয়নের মিঠাছরা বাজারে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের বিভিন্ন নেতাকর্মীরা অবস্থান নিয়েছেন।
করেরহাট বাজারে সকাল থেকে অবস্থান নিয়েছে ছাত্রলীগ যুবলীগের নেতা-কর্মীরা। জোরারগঞ্জ বাজার ও বিএসআরএম সোনাপাহাড় এলাকায় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম মাষ্টারের নেতৃত্বে অবস্থানে রয়েছে দলীয় নেতা-কর্মীরামঘাদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসাইন মাষ্টারের নেতৃত্বে হরতাল বিরোধী একটি শোড়াউন আবুতোরাব বাজার থেকে উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে এসে অবস্থান নেয়।
এদিকে দূর পাল্লার বাস চলাচল বন্ধ থাকলেও চলাচল করছে লেগুনা ও সিএনজি অটোরিক্সা। মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য।
উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি আশরাফুল কামাল মিঠু বলেন, দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করার জন্য বিএনপি-জামায়াত গতকাল হামলা চালিয়েছে। তাদের জন্মটাই এভাবে হয়েছে। মানুষ হত্যা করেই ওদের পার্টির জন্ম। কাজেই তারা এটি করবে, আমরা তা প্রতিহত করার জন্য সকাল থেকে বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করছি। আমরা জনগণকে নিয়ে বিএনপি-জামায়াতকে প্রতিহত করবো। যাতে জনগণের জানমাল ও দেশের সম্পদ রক্ষা করা যায়।
মিরসরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী বলেন, বিএনপি জামায়াতের নাশকতা কর্মকান্ড প্রতিহত করতে ও জনগনের জানমালের নিরাপত্তার জন্য রোববার সকাল থেকে আমরা উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অবস্থানে রয়েছি। তাঁরা আবারো আগুন সন্ত্রাস করতে চায়, মানুষ পুড়াতে চায়। কিন্তু আর তাদের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করতে দেয়া হবে না।
চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের সহকারি পুলিশ সুপার (মিরসরাই সাকের্ল) মনিরুল ইসলাম বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কসহ উপজেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে রোববার ভোর থেকে পুলিশ দায়িত্ব পালন করছেন। এখন পর্যন্ত কোথাও কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। দুই থানা এলাকার পরিবেশ শান্ত ও স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানান তারা।
সময় জার্নাল/এলআর