নিজস্ব প্রতিবেদক : বিএনপি-জামায়াতের ডাকা টাকা তিন দিনের অবরোধ কর্মসূচির আজ প্রথম দিন। সকাল থেকে সড়কে গাড়ির সংখ্যাও কম। ভিড় নেই ফিলিংস্টেশনগুলোতে৷
ব্যবসায়ীরা বলছেন, একদিকে অবরোধের ফলে তেলের বিক্রি একেবারেই কমে গেছে অন্যদিকে, তেল পাম্পের নিরাপত্তায় বাড়তি কর্মচারী নিয়োগ দিতে হচ্ছে তাদের। এভাবে অবরোধ শুরু হলে ব্যবসায় বিরাট ক্ষতির মুখোমুখি হবেন তারা৷
মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) সকালে সরেজমিনে রাজধানীর বেশ কয়েকটি ফিলিং স্টেশন ঘুরে দেখা যায়, ভিড় না থাকায় বসে অনেকটাই অলস সময় পার করছেন কর্মচারীরা। মাঝে মধ্যে দুই একটা গাড়ি এসে তেল নিয়ে যাচ্ছে।
নীলক্ষেতের পথের বন্ধু ফিলিং স্টেশনের ম্যানেজার মো. আজিজুর রহমান বলেন, তেল বিক্রি একেবারেই কম। রাস্তায় গাড়ি অনেক কম। এজন্য তেল বিক্রিও কমে গেছে। ব্যবসা তো নাই আবার নিরাপত্তার জন্য পাঁচ জন কর্মচারী অতিরিক্ত রাখা হইছে। অবরোধ চলমান থাকলে ব্যবসার অনেক ক্ষতি হয়ে যাবে।
মেঘনা ফিলিং স্টেশনের কর্মচারী রাজু বলেন, অন্যদিন গাড়ি সিরিয়ালে তেল নেয়। আজ সিরিয়াল থাক সিঙ্গেল গাড়িই আয়ে না। সকাল থেকে আট-দশটা গাড়িতে তেল দিছি মাত্র।
তেল পাম্পের মালিকরা বলছেন, নিরাপত্তার সঙ্কা মাথায় রেখেই পাম্প খোলা রাখছেন। তবে পরিস্থিতি খারাপ হলে বা এভাবে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থেকে বিক্রি না হলে পাম্প বন্ধ করে রাখবেন তারা।
পেট্রোল পাম্প মালিক সমিতির সভাপতি মিজানুর রহমান রতন বলেন, হরতাল বা অবরোধে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয় আমাদের। রাস্তায় গাড়ি নাই, বিক্রি হবে কীভাবে! আমরা চাই রাজনৈতিক সমঝোতার মাধ্যমে হরতাল-অবরোধ তুলে নেওয়া হোক। এতে আমরা অন্তত ব্যবসাটা চালিয়ে নিতে পারবো।
এসজে/আরইউ