নিজস্ব প্রতিনিধি:
সব ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে আজ বুধবার (১ নভেম্বর) স্বপ্নের পদ্মা সেতুতে চলবে যাত্রীবাহী ট্রেন। এর মধ্য দিয়ে রেলপথে রাজধানীর সঙ্গে সরাসরি যুক্ত হবে দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল। যার ফলে অর্থনীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আসবে বলে সংশ্লিষ্টরা ধারণা করছেন।
সুন্দরবন এক্সপ্রেস (৭২৫) ট্রেনটি পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে প্রথম বাণিজ্যিকভাবে যাত্রা করবে। খুলনা থেকে রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে ছেড়ে এসে ট্রেনটি ঢাকায় পৌঁছাবে ভোর ৫টায়।
এছাড়া দ্বিতীয় বাণিজ্যিক ট্রেন হিসেবে ২ নভেম্বর যাত্রা করবে বেনাপোল এক্সপ্রেস (৭৯৫)। ট্রেনটি বেনাপোল থেকে দুপুর ১টায় ছেড়ে ঢাকায় পৌঁছাবে রাত ৮টা ৪৫ মিনিটে।
পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের সিনিয়র প্রকৌশলী প্রদীপ কুমার সাহা বলেন, বুধবার রাত পৌনে ১০টায় খুলনা থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হবে সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেন। বৃহস্পতিবার ভোর ৪টা ৭ মিনিট থেকে ৪টা ১৮ মিনিটে প্রথম ট্রেনটির পদ্মা সেতু অতিক্রম করার কথা রয়েছে।
সিডিউল অনুযায়ী ট্রেনটি কমলাপুর স্টেশনে পৌঁছাবে ভোর ৫টা ১০ মিনিটে। ফিরতি পথে সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেন বৃস্পতিবার সকাল সোয়া ৮টায় কমলাপুর থেকে রওনা হয়ে পদ্মা সেতু অতিক্রম করবে সকাল ৮টা ৫৮ থেকে ৯টা ৯ মিনিটে। সিডিউল অনুযায়ী, ট্রেনটি খুলনা পৌঁছাবে বিকেল ৩টা ৫০ মিনিটে।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১টায় যশোরের বেনাপোল থেকে বেনাপোল এক্সপ্রেস রওনা হয়ে পদ্মা সেতু অতিক্রম করবে সন্ধ্যা ৭ টা ৪৭ থেকে ৭ টা ৫৮ মিনিটে। ট্রেনটি ঢাকায় পৌঁছাবে রাত পৌনে ৯টায়।
পরবর্তীতে মধুমতি এক্সপ্রেস রাজশাহী-ঢাকা ও নকশীকাঁথা এক্সপ্রেস ঢাকা-খুলনা রুটে পদ্মা সেতু হয়ে চলাচল করবে।
এদিকে কমানো হয়েছে পদ্মা সেতু হয়ে ট্রেনের ভাড়া। ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা স্টেশন পর্যন্ত ৭৭ কিলোমিটার দূরত্বে ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে মেইল ট্রেনে ৮০ টাকা, কমিউটার ট্রেনে ১০০ টাকা, শোভন চেয়ার ২৩০ টাকা, এসি চেয়ার ৪৪৩ টাকা, এসি সিট ৫২৯ টাকা এবং এসি বার্থ ৭৯৪ টাকা। এই পথে আন্তঃনগর ট্রেনে (নন-এসি) ভাড়া ছিল ৩৫০ টাকা। তা কমিয়ে ২৩৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, ট্রেনের টিকিটের সাতটি শ্রেণির প্রত্যেক শ্রেণিতেই ভাড়া কমানো হয়েছে। শোভন চেয়ারে ঢাকা থেকে যশোরের ভাড়া ছিল ৫৬৫ টাকা, যা এখন ৪৫৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
ঢাকা থেকে খুলনা পথে ভাড়া ছিল ৬১৫ টাকা, এ ভাড়া কমিয়ে ৫০০ টাকা করা হয়েছে।
সময় জার্নাল/এলআর