এহসান রানা, ফরিদপুর প্রতিনিধি: ফরিদপুর জেলা আওয়ামীলীগের কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে সম্প্রতি। নতুন ভাবে ঢেলে সাজানো হবে ফরিদপুরের জেলা আওয়ামীলীগের কমিটি।
অনুুুসন্ধানে জানা যায়, দীর্ঘদিন যে সকল ত্যাগী নির্যাতিত নেতারা পদ পদবী থেকে বঞ্চিত ছিলো তারা এ নতুন কমিটিতে অর্ন্তভুক্ত হবে। যদি তাই হবে সেক্ষেত্রে নির্যাতিত ত্যাগি বঞ্চিত নেতাদের মধ্যে রয়েছে বিপুল ঘোষ, সৈয়দ মাসুদ হোসেন, একে আজাদ, এ্যাডভোকেট শামসুল হক ভোলা মাষ্টারসহ খোন্দকার মঞ্জুর আলী, নূর মো: ক্যাপ্টেন বাবুল, ডেভিড, খলিফা কামাল উদ্দিন, আমিনুল ইসলাম রিপন, কাজী বিভুল, মুকুলসহ দুই শতাধীক অভিজ্ঞ নেতা কর্মীর রয়েছে। তবে এদের মধ্যে অকার্যকর হিসেবে কমিটিতে ছিলো সাধারণ সম্পাদক হিসেবে সৈয়দ মাসুদ হোসেন, সহ-সভাপতি এ.কে আজাদ, শামীম হক, উপদেষ্টা পদে ছিলেন শামসুল হক ভোলা মাষ্টার। বাকীরা কেউ পদ পদবীতে ছিলো না, ছিলেন নির্যাতনের তালিকায়।
২০২০ সালের জুন মাসের পরে যখন খোন্দকার মোশাররফ হোসেনসহ তার দলবল মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর শুদ্ধি অভিযানে বিতারিত হওয়ার পর থেকে উপরোক্ত সকল নেতারা এখন মাঠে আছে।
নতুন কমিটি গঠন হলে কে হবে ফরিদপুর জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি? ভোলা মাষ্টার, বিপুল ঘোষ, সৈয়দ মাসুদ হোসেন, এ.কে আজাদ না শামীম হক? তবে এদের মধ্যে বিভিন্ন কর্মকান্ডে ও লবিং-এ এবং জনপ্রিয়তায় শামিম হক এগিয়ে আছে।
অপরদিকে ফরিদপুরের তৃণমূল আ:লীগের নেতাকর্মীদের দাবী দীর্ঘ ১২ বছর আ:লীগের নেতা-কর্মীরা খোন্দকার মোশাররফের অত্যাচার, নির্যাতন, মামলার শিকার হয়েছে তাদেরকে নিয়ে সুন্দর একটি জেলা কমিটি গঠন করা হোক। ঐকমিটিতে যেন কোনো হাইব্রিড অনুপ্রবেশকারীর জায়গা না হয়। যদি তারা নতুন কমিটিতে স্থান পায় তবে তৃণমূল আওয়ামীলীগের কর্মীরা মুখ ফিরিয়ে নেবে।
সময় জার্নাল/এমআই