বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪

অনিয়ম-দুর্নীতিতে বেপরোয়া সাব-রেজিস্ট্রার ওমর ফারুক

চৌদ্দগ্রামে ভুয়া দাতা-এনআইডি নাম্বার দিয়ে একাধিক দলিল রেজিস্ট্রির অভিযোগ

শনিবার, নভেম্বর ৪, ২০২৩
চৌদ্দগ্রামে ভুয়া দাতা-এনআইডি নাম্বার দিয়ে একাধিক দলিল রেজিস্ট্রির অভিযোগ

মোঃ এমদাদ উল্যাহ, চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা):

ওমর ফারুক সাব-রেজিষ্ট্রার, চৌদ্দগ্রাম সাব রেজিস্ট্রি অফিস। তাঁর বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে দাতা ও গ্রহীতার জাতীয় পরিচয়
পত্র(এনআইডি) কার্ড শনাক্ত না করে একাধিক ভুয়া এনআইডি নাম্বারে দলিল রেজিস্ট্রি, প্রতি দলিলে বাড়তি টাকা নেয়া,
খাজনা দাখিলা ছাড়া দলিল রেজিস্ট্রি, সমিতির আইনের তোয়াক্কা না করে একাধিক সমবায় সমিতির দলিল রেজিস্ট্রিসহ
বিভিন্ন অভিযোগে উঠেছে। কতিপয় দলিল লেখক সাব রেজিস্ট্রার ওমর ফারুকের সাথে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে
অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে জমি রেজিস্ট্রি করছে। ‘সাব রেজিস্ট্রার ওমর ফারুকের কাছে সব অনিয়মই এখন নিয়ম’। ভুয়া দাতা সাজিয়ে জমি রেজিস্ট্রি করায় নুরজাহান বেগম নামে ভুক্তভোগী এক নারী কুমিল্লার আদালতে দলিল লেখক কামরুল ইসলাম ও গ্রহীতা নাছির উদ্দিনসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছেন। এদিকে সাব রেজিস্ট্রার ওমর ফারুকের অনিয়ম তদন্তে দুর্নীতি দমন কমিশনসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন ভুক্তভোগী সাধারণ
মানুষ।

মামলায় উল্লেখ করা হয়, নাঙ্গলকোট উপজেলার মক্রবপুর গ্রামের মোবাশের হোসেনের স্ত্রী নুরজাহান বেগমের পিতা
চৌদ্দগ্রাম উপজেলার মুন্সিরহাট ইউনিয়নের ছাতিয়ানী গ্রামের রুস্তম আলী ২৩ বছর আগে মারা যান। নুরজাহান বেগম
পৈত্রিক ওয়ারিশ সূত্রে ছাতিয়ানী মৌজায় আরএস ২৫৪ এবং বিএস ৫৩৯নং খতিয়ানভুক্ত সাবেক ৪৭ হালে বিএস ৫৮নং দাগে
২১ শতক ভুমির মালিক এবং দখলদার। চলতি বছরের ২১ জুলাই ছাতিয়ানী গ্রামের ইদর আলীর ছেলে নাছির উদ্দিন মজুমদারসহ কয়েকজন ওই ভূমিতে দাঁড়িয়ে বলে তারা সেটি খরিদ করেছে। এরপর ২৬ জুলাই নুরজাহান বেগম চৌদ্দগ্রাম সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে তল্লাশী চালিয়ে দেখতে পায়, ১৯ জুলাই নাছির উদ্দিন মজুমদারকে গ্রহীতা এবং নুরজাহান বেগমকে দাতা দেখিয়ে জাল দলিল(নং-৬৬৯৬) রেজিস্ট্রি করা হয়েছে। নুরজাহান বেগম ওই তারিখে সাব রেজিষ্ট্রি অফিসে উপস্থিত ছিলেন না, স্বাক্ষর করেননি, টিপসই দেননি, টাকা গ্রহণ করেননি, দলিল হস্তান্তর করেননি এবং সাব কবলা দলিলও সম্পাদন করেননি। ভিন্ন কাউকে দাতা সাজিয়ে ভুয়া এনআইডি, ছবি ও ভুয়া স্বাক্ষর দিয়ে জাল দলিল সৃষ্টি করা হয়েছে। এরআগে ১ জুন নুরজাহান বেগমের বোন জোসনা বেগমকে দাতা সাজিয়ে জাল দলিল(নং-৫১৩২) সৃষ্টি করেছে নাছির উদ্দিন মজুমদার। ওই দিন জোসনা বেগম সাব রেজিস্ট্রি অফিসে যাননি, স্বাক্ষর করেননি, কোন দখল হস্তান্তর করেননি এবং দলিল সম্পাদন করেননি। 

দুটি ঘটনা উল্লেখ করে নুরজাহান বেগম বাদি হয়ে গত ১০ অক্টোবর অপরাধকান্ডের মূলহোতা দুইটি জাল দলিলের গ্রহীতা মুন্সিরহাট ইউনিয়নের ছাতিয়ানী গ্রামের ইদর আলীর ছেলে নাছির উদ্দিন মজুমদার, দলিলের স্বাক্ষী একই গ্রামের মৃত আলী মিয়ার ছেলে শেখ ফরিদ, দলিলের শনাক্তকারী একই গ্রামের মৃত চৌধুরী মিয়ার ছেলে আবদুল মান্নান, একই গ্রামের নজির আহাম্মদের ছেলে মওদুদ মজুমদার, পার্শবর্তী মরকটা গ্রামের শহিদুল রহমানের ছেলে মোঃ ইয়াকুব এবং দলিলের লেখক বাতিসা ইউনিয়নের পাটানন্দী গ্রামের মৃত খোরশেদ আলম ভেন্ডারের ছেলে কামরুল ইসলামের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন। বিজ্ঞ আদালত মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব প্রদান করেছেন সিআইডিকে।

বিভিন্ন সূত্র ও কাগজপত্র পর্যালোচনা করে জানা গেছে, দলিল সম্পাদনের ক্ষেত্রে বিশেষত দাতাগণের এনআইডির মুলকপি অথবা অনলাইন যাচাই কপি দেখে দলিল রেজিস্ট্রি হয়। কিন্তু প্রতিবেদকের হাতে প্রমাণসহ থাকা ৩টি দলিলের দাতাগণের এনআইডি ভেরিফাই হয়নি। অর্থ্যাৎ দলিলে ব্যবহৃত এনআইডি নাম্বার ভুল। ভুক্তভোগী দলিলের দাতারা অভিযোগ করেন সাব রেজিস্ট্রার ওমর ফারুক জেনে শুনে এসব দলিল রেজিস্ট্রি করেছেন। চলতি বছরের ১ জুন চৌদ্দগ্রাম সাব রেজিস্ট্রি অফিসে ৫১৩২নং সাফ কবলা দলিল রেজিস্ট্রি হয়। দলিলটিতে ১নং দাতা জোসনা বেগম, পিতা-মৃত রুস্তুম আলী, স্বামী-দেলোয়ার হোসেন। দলিলে দাতার ঠিকানা দেখানো হয়েছে-লনিশর, পোঃ খিরনশাল, চৌদ্দগ্রাম, কুমিল্লা। এনআইডি নাম্বার ১০১৩৭১৬৭৪৯, জন্ম তারিখ- ০৫.০২.১৯৮২খ্রি.। উক্ত এনআইডি নাম্বার এবং জন্ম তারিখ ব্যবহার করে দেখা গেছে এটি ‘ভুয়া’। প্রকৃতপক্ষে জোসনা বেগমের এনআইডি নাম্বার ভিন্ন, সঠিক জন্ম তারিখ- ১০ই মার্চ ১৯৭০খ্রি.। 

দলিলের দাতা জোসনা বেগমের বোনের ছেলে বাচ্চু বলেন, ১ জুন ২০২৩ তারিখে কোন দলিলে জোসনা বেগম স্বাক্ষর প্রদান করেননি। এমনকি ১৯ জুলাই আরেকটি রেজিস্ট্রিকৃত দলিলে তাঁর খালা মোসাঃ নুরজাহান বেগমকে দাতা বানানো হয়েছে। দলিলটিতে দাতা নুরজাহান বেগম, পিতা- মৃত রুস্তুম আলী, স্বামী- প্রযোজ্য নহে। দলিলে দাতার ঠিকানা দেখানো হয়েছে- মক্রবপুর, পোঃ মক্রবপুর, নাঙ্গলকোট, কুমিল্লা। এনআইডি নাম্বার- ৪১৮০০৬৯২৮০, জন্ম তারিখ-০৮.০৯.১৯৭৫খ্রি.। উক্ত এনআইডি নাম্বার এবং জন্ম তারিখ ব্যবহার করে দেখা গেছে এটি ভুয়া। প্রকৃতপক্ষে নুরজাহান বেগমের সঠিক এনআইডি নাম্বারও ভিন্ন, সঠিক জন্ম তারিখ- ১০ই জানুয়ারী ১৯৭৩খ্রি.। দলিলের দাতা নুরজাহান বেগম বলেন, ১৯ জুলাই ২০২৩ তারিখে কোন দলিলে উনি স্বাক্ষর প্রদান করেননি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চৌদ্দগ্রাম সাব রেজিস্ট্রি অফিসের এক কর্মচারী বলেন, ‘সমিতির দলিল, যে কোন ঝামেলার দলিল
রেজিস্ট্রির বিষয়টি সম্পূর্ণ সাব রেজিস্ট্রারের এখতিয়ার। এখানে অফিসের অন্য কারো কোন সম্পৃক্ততা নেই। তবে সাব
রেজিস্ট্রার ওমর ফারুক এবং সংশ্লিষ্ট দুইটি দলিলের লেখক কামরুল ইসলাম এনআইডি যাচাই করে দলিল সম্পাদন করেছেন বলে দাবি করলেও দলিলে প্রদত্ত দুইজন দাতার এনআইডি নাম্বার এবং জন্ম তারিখ অনলাইনের একাধিক সার্ভারে ব্যবহার করেও এনআইডি এবং জন্ম তারিখ সঠিক হিসেবে পাওয়া যায়নি কিংবা ভেরিফাই করা হয়নি’।

অনুসন্ধানে আরও জানা গেছে, গত ছয় মাসের ব্যবধানে চৌদ্দগ্রাম উপজেলায় বিভিন্ন সমবায় সমিতির অন্তত ১০-১৫টি
দলিল রেজিস্ট্রি হয়েছে। সমিতির দলিল স্বাভাবিকভাবে রেজিস্ট্রি করার সুযোগ নেই বলে ব্যক্তিগতভাবে প্রতিটি দলিলে ১-২ লাখ
টাকা ঘুষ নিয়ে এসব দলিল করেছেন সাব রেজিস্ট্রার ওমর ফারুক। এছাড়াও স্বাভাবিকভাবে প্রতিটি দলিলে নির্দিষ্ট ব্যাংক
ড্রাফট এর বাইরে ২৫০০ টাকা থেকে ৩০০০টাকা নিয়ে থাকে সাব রেজিস্ট্রি অফিস। যেখান থেকে প্রতি দলিল হারে একটা
অংশ নেন সাব রেজিস্ট্রার ওমর ফারুক। 

গত ১৩ সেপ্টেম্বর চৌদ্দগ্রাম ফিউচার সমবায় সমিতির মালিকানাধীন পৌরসভার বৈদ্দ্যেরখিল মৌজার বিএস সৃজিত ৩৭২নং খতিয়ানভুক্ত হাল ৯৬ দাগে ৫ শতক জমির দলিল রেজিস্ট্রি হয়। জমির ক্রেতা মোঃ কাজল জানান, এই দলিল রেজিস্ট্রির ব্যাংক ড্রাফটের বাইরে শুধুমাত্র সাব রেজিস্ট্রারের জন্য নগদ ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা নিয়েছে। একই বছরে বৈদ্দ্যেরখিল মৌজায় আরও একটি দলিল(নং-৭৩৯৫) রেজিস্ট্রি হয়েছে। দলিলের গ্রহীতা নুরুল আফসার মজুমদার, দাতা- ফিউচার সমিতির চেয়ারম্যান মাওলানা মিজানুর রহমান। এছাড়াও চলতি বছরে ফিউচার সমবায় সমিতির আরও একাধিক দলিল রেজিস্ট্রি হয়েছে। একই বছরে শুভপুর ইউনিয়নের ফকিরহাট মৌজার অপর একটি সমবায় সমিতির দলিল(নং-৮৫৫৬)
রেজিস্ট্রি হয়েছে। গত ২২ আগস্ট পৌর সদরের পাঁচরা (পাঁচমোড়া) মৌজায় আরেকটি সমবায় সমিতির দলিল(নং-৭৮৭৫)
রেজিস্ট্রি হয়েছে। দলিল দাতা-মোঃ ছালেহ আহাম্মদ, গ্রহীতা-আবুল বসর গং। গত ১২ সেপ্টেম্বর মুন্সিরহাট সোনালী বহুমুখী
সমবায় সমিতির (রেজিঃ নং- ৩৩৭/২০১১) মালিকানাধীন ফকিরহাট মৌজার সৃজিত ৪৮০নং খতিয়ানভুক্ত বিএস-২৭৩ দাগে
৩২শতক ভূমি কবলা দলিল(নং-৮৫২৪) হয়। দলিলের গ্রহীতা মোঃ ইউনুছ মিয়া, দাতা-সমিতি, ক্ষমতাপ্রাপ্ত এ্যার্টণী-অলি
আহাম্মদ মজুমদার। মুলত সমবায় সমিতির প্রায় সবগুলো দলিল চলতি বছরে রেজিস্ট্রি হয়েছে।

তবে ভিন্ন রকম বক্তব্য দিয়েছেন চৌদ্দগ্রাম উপজেলা দলিল লেখক সমিতির সভাপতি শাহনেওয়াজ শাহীন ও সেক্রেটারী মীর
আলমগীর হোসেন। সভাপতির দাবি, শুধুমাত্র আইসিএল কোন-অপারেটিভ সোসাইটি সমিতির দলিল রেজিস্ট্রি না করার বিষয়ে
অফিসে পরিপত্র আছে। তবে এমন কোন পরিপত্র দেখাতে পারেননি তিনি। অপরদিকে সেক্রেটারী মীর আলমগীর হোসেনের দাবি, আল হামরা, এফআইসিএল, আইসিএল অফিসিয়ালি এই ৩টি সমবায় সমিতির দলিল রেজিস্ট্রি না করার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা
আছে।

মামলার বাদী নুরজাহান বেগম বলেন, ‘দলিলে উল্লেখিত তারিখে তিনি রেজিস্ট্রি অফিসে যাননি। মোটা অংকের টাকার
বিনিময়ে একটি প্রতারকচক্র টাকাগুলো হাতিয়ে নিয়েছে। এই চক্রে অফিসের এবং বাইরের লোকও জড়িত। 

তিনি আরও বলেন, বিজ্ঞ আদালতে মামলা(সিআর-১০৫৭) করা হয়েছে। অচিরেই সাংবাদিক সম্মেলন করে প্রতারণার সবকিছু বিস্তারিত প্রকাশ করা হবে’। 

প্রতারণার মাধ্যমে সম্পাদিত ২টি দলিলের স্বাক্ষী শেখ ফরিদ এবং শনাক্তকারী আঃ মান্নান বলেন, ‘দলিলগুলোর বিষয়ে তারা বিস্তারিত জানেন না। প্রতিদিনের ন্যায় অন্য কাজে বাজারে আসায় ভুল বুঝিয়ে তাদেরকে দলিলে স্বাক্ষী ও শনাক্তকারী করা
হয়েছে’।

উভয় দলিলের গ্রহীতা মুন্সিরহাট ইউনিয়নের ছাতিয়ানী গ্রামের নাছির উদ্দিন মজুমদার বলেন, দলিল রেজিস্ট্রির সময়ে
প্রবাসে ছিলেন। যার কারণে তিনি প্রতারণার শিকার হয়েছেন এবং প্রতারক চক্রটি ভুয়া দলিল রেজিস্ট্রির মাধ্যমে সব
মিলিয়ে ২০লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। আমি সামাজিকভাবে বিষয়টি মিমাংশার চেষ্টা করছি। মিমাংশায় ব্যর্থ হলে
আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে’।

অভিযুক্ত দলিল লেখক এবং মামলার আসামী মোঃ কামরুল ইসলাম বলেন, ‘ছাতিয়ানী গ্রামের মওদুদ মজুমদারের এক ব্যক্তির মাধ্যমে সব কাগজপত্র ও ফি পেয়ে দলিল সম্পাদন করেছি। সাব রেজিস্ট্রার কাগজপত্র যাচাই করেই দলিল রেজিস্ট্রি করেছেন’।

কুমিল্লা জেলা সমবায় অফিসার আল আমিন ও চৌদ্দগ্রাম উপজেলা সমবায় অফিসার ভুঁইয়া শাহিনুর রহমান জানান, সমবায়
সমিতির লাইসেন্সপ্রাপ্ত সকল সমিতির দলিল রেজিস্ট্রি করার ক্ষেত্রে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব মহোদয়ের অনুমতি
নিয়ে করতে হবে। এ বিষয়ে ২০১২ সালের ১৭ জুলাই পল্লী উন্নয়ণ ও সমবায় বিভাগের প্রশাসন-২ শাখার একটি পরিপত্র জারি
রয়েছে। ওই পরিপত্রের প্রেক্ষিতে আমরা সাব রেজিস্ট্রি অফিসে এর অনুলিপি প্রেরণ করেছি। সচিব মহোদয়ের অনুমতি ব্যতিত
কোন সমবায় সমিতির দলিল রেজিস্ট্রি বৈধ নয়। নির্দিষ্ট কোন সমবায় সমিতি নয়, এই আইন বাংলাদেশের সকল সমবায়
সমিতির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য’।

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তমালিকা পাল বলেন, ‘যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি স্বাপেক্ষে
সমবায় সমিতির নামীয় কৃষি জমি ক্রয়ের বিধান রয়েছে। কিন্তু অনুমতি ব্যতিত জমিন ক্রয়-বিক্রয় করা আইনে বৈধতা নেই।
এছাড়াও অন্য কোনভাবে দলিল হলে ওই দলিল জেলা প্রশাসক মহোদয়ের ভূতাপ্রেক্ষিত অনুমোদন ব্যতিত নামজারী হয় না’।

চৌদ্দগ্রাম সাব রেজিস্ট্রার ওমর ফারুক ভুয়া এনআইডি ব্যবহার করে ভুয়া দাতা সাজিয়ে দলিল রেজিস্ট্রির বিষয়ে বুধবার এ
প্রতিবেদকের সাথে মোবাইলে কোন কথা বলতে রাজি হননি। তবে তিনি অন্য মাধ্যমে সাংবাদিকদের বলেন, ‘খাজনা দাখিলা
ভেরিফাইয়ের নিয়ম থাকলেও অফিসে এনআইডি ভেরিফাইয়ের নিয়ম নেই। আমি কাগজপত্র দেখে দলিলগুলো করেছি। 

তিনি আরও বলেন, এই অফিসে আসার পরে এখন পর্যন্ত সমবায় সমিতির দলিল রেজিস্ট্রি না করার জন্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক পাঠানো পরিপত্রের বিষয়ে কেউ আমাকে কিছু জানায় নাই। তাই অজানা স্বত্বে সমবায় সমিতির কয়েকটি দলিল অত্র অফিসে রেজিস্ট্রি করেছি। তাছাড়া প্রতি দলিলে বাড়তি ১-২ লক্ষ টাকা গ্রহণের বিষয়টি সত্য নয়’।

এমআই 


Somoy Journal is new coming online based newspaper in Bangladesh. It's growing as a most reading and popular Bangladeshi and Bengali website in the world.

উপদেষ্টা সম্পাদক: প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ

যোগাযোগ:
এহসান টাওয়ার, লেন-১৬/১৭, পূর্বাচল রোড, উত্তর বাড্ডা, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ
কর্পোরেট অফিস: ২২৯/ক, প্রগতি সরণি, কুড়িল, ঢাকা-১২২৯
ইমেইল: somoyjournal@gmail.com
নিউজরুম ই-মেইল : sjnewsdesk@gmail.com

কপিরাইট স্বত্ব ২০১৯-২০২৪ সময় জার্নাল