আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
আবারও ভূমিকম্পে কাঁপলো নেপাল। শুক্রবারের শক্তিশালী ভূমিকম্পে প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতির রেশ কাটতে না কাটতেই সোমবার (৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় আরেকটি ভূমিকম্প হলো হিমালয় অঞ্চলের এ দেশ।
নতুন এ ভূমিকম্পের কম্পন অনুভূত হয়েছে প্রতিবেশী দেশ ভারতের দিল্লিতেও। তবে এবারের দুর্যোগে উভয় দেশে কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কি না, তা এখনো জানা যায়নি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি বলছে, সোমবার সন্ধ্যার দিকে নেপালে আঘাত হানা ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৫ দশমিক ৬ মাত্রার। ভারতের জাতীয় ভূকম্পনবিদ্যা বিভাগ জানায়, এই ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল উত্তর প্রদেশের অযোধ্যা থেকে ২৩৩ কিলোমিটার দূরে।
এর আগে গত শুক্রবার রিখটার স্কেলে ৬ দশমিক ৪ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে নেপালে। তাতে এখন পর্যন্ত ১৫৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। ওই ঘটনায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় নেপালের জাজারকোট ও পশ্চিম রুকুম জেলা। নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু ছাড়াও প্রবল ওই কম্পন অনুভূত হয় ভারতের বিভিন্ন শহরেও।
নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দাহাল ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চল পরিদর্শন করেছেন। ভূমিকম্পে জীবন ও সম্পদের ক্ষয়ক্ষতিতে গভীর দুঃখপ্রকাশ করেছেন তিনি। দুর্গত এলাকাগুলোতে উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রম দ্রুত শুরু করতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
নেপালে শক্তিশালী ভূমিকম্পের ঘটনা নতুন নয়। তিব্বতীয় ও ভারতীয় টেকটোনিক প্লেটের মিলিত স্থানের ওপর অবস্থিত হওয়ায় এটি অত্যন্ত ভূমিকম্পপ্রবণ।
নেপাল সরকারের দুর্যোগ পরবর্তী চাহিদা মূল্যায়ন (পিডিএনএ) রিপোর্ট অনুসারে, এটি বিশ্বের ১১তম ভূমিকম্পপ্রবণ দেশ। ২০১৫ সালের পর থেকেই দেশটিতে প্রায়ই ভূমিকমম্প অনুভূত হয়, যার প্রভাব প্রতিবেশী দেশ ভারতেও পড়ে।
সময় জার্নাল/এলআর