মো. মাইদুল ইসলাম: স্বাস্থ্যবিধি মেনে অবিলম্বে হল ও ক্যাম্পাস খুলে দেওয়ার দাবিতে প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এছাড়াও একই দাবিতে সারাদেরশের ক্যাম্পাসেগুলোর সামনে মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থীরা।
'শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিন, নয় গলার দড়ি দিন' এ ধরণের প্ল্যাকার্ড হাতে মানববন্ধনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার দাবি জানায় শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (২৪ মে) সকাল ১১টায় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থীরা।
এসময় শিক্ষার্থীরা বলেন, দেশের সব কিছু খোলা আছে, তাহলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ কেনো? শ্রমিকরা যদি স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে পারে তাহলে আমরাও পারবো।
ইডেন মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী মারুফা প্রীতি বলেন, কয়দিন আগে অনলাইন পরিক্ষা দিয়েছিলাম, সেখানে হার্ডকপি জমা দেয়ার জন্য লোকাল বাসে করে চড়ে কলেজের ৮০০-৯০০ শিক্ষার্থীদের সাথে ঠেলাঠেলি করে এসাইনমেন্ট আর কপি পেপার জমা দিতে হয়েছে। তখন কি আমাকে এনশিওর করা হয়েছে যে আমার করোনা হবেনা? অথবা এসাইনমেন্টর কাগজ যেটা হাতে নিলে করোনা আমাকে স্পর্শ করবেনা? নাকি গণপরিবহনে করোনা থাকেনা কিংবা ৮০০-৯০০ শিক্ষার্থীদের করোনা আক্রমণ করবেনা? কারন এরা হলে আসেনি ক্যাম্পাসে এসেছে তাই তো? তাহলে কি আমরা ধরে নিবো করোনার বসবাস শুধু মাত্র হলে বা ছাত্রাবাস গুলোতে! গণপরিবহন অফিস আদালত গুলোতে নয়।
শিক্ষার্থীর করোনা আক্রান্তর দায়ভার যদি কাউকে নিতে হয় তবে যেকোনো পরিস্থিতিতে নেয়া হোক। শুধু মাত্র ক্যাম্পাস খোলার পর দায় ভার নেয়া মানে বোকামি। সব শিক্ষার্থী তো শুধু আর পড়াশোনাই করেনা। কারো কারো পরিবারের দায়িত্ব ও রয়েছে নিজের ওপর। তাকে কাজে যেতে হয়। সে ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীর দায় ভার কতোটুকু নেয়া হয়?
উপস্থিত মানববন্ধনকারী শিক্ষার্থীরা আরো বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে না দিলে আমরা কঠোর আন্দোলনে যাবো। প্রয়োজনে রাজপথ ছাড়বো না, পুরো ঢাকা শহরকে অচল করে দেয়া হবে। আমাদের সাথে এমন অবহেলা সহ্য করা হবে না।
সময় জার্নাল/এমআই