আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
আফ্রিকার কঙ্গোর পূর্বাঞ্চলীয় শহর গোমা থেকে ছয় মাইল দূরে অবস্থিত নাইরাগঙ্গো পর্বতে আগ্নেয়গিরির ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া ১৭০ এর বেশি শিশুর নিখোঁজের শঙ্কা রয়েছে এবং আরো অন্তত ১৫০ জন তাদের পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। সোমবার (২৪ মে) এ খবর প্রকাশ করেছে বিবিসি।
গতকাল রবিবার কঙ্গো সরকারের মুখপাত্র প্যাট্রিক মুয়ায়া জানান, আগ্নেয়গিরির বিস্ফোরণে এখন পর্যন্ত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। সংখ্যাটা আরো বাড়তে পারে। এদের মধ্যে ৯ জন শহর থেকে পালানোর সময় পদদলিত হয়ে মারা যান। কারাগার থেকে পালানোর সময় চারজনের মৃত্যু হয়েছে এবং লাভার আগুনে পুরে মারা যান বাকি দুইজন।
জাতিসংঘের শিশু উন্নয়ন বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ জানিয়েছে, ১৭০ এর বেশি শিশুর নিখোঁজের শঙ্কা রয়েছে এবং আরো অন্তত ১৫০ জন তাদের পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এই শিশুদের সহায়তার জন্য কেন্দ্র স্থাপন করা হবে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এপি জানিয়েছে, আগুনে শতাধিক বাড়ি পুড়ে গেছে। যার মধ্যে বড় বড় বিল্ডিংও রয়েছে। এগুলো মেরামত করতে মাসখানেক লেগে যেতে পারে।
এর আগে রবিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এরপরই পুরো শহর খালি করার নির্দেশ দেয় দেশটির সরকার।
এর আগে সর্বশেষ ২০০২ সালে আগ্নেয়গিরি বিস্ফোরিত হয়েছিল। সে সময় অন্তত ২৫০ জনের প্রাণহানী ঘটে এবং এক লাখ ২০ হাজার মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েন। তারও আগে ১৯৭৭ সালে বিস্ফোরণ হয়েছিল। তখন প্রায় ৬০০ মানুষ নিহত হন।
সময় জার্নাল/এমআই