মোঃ এমদাদ উল্যাহ, চৌদ্দগ্রাম, কুমিল্লা:
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে ঘুর্ণিঝড় মিধিলি’র প্রভাবে প্রচন্ড বাতাসে খাদ্য গুদামের বিশাল আকৃতির কড়ই গাছ হেলে পড়ে রফিকুল ইসলাম পাটোয়ারীর টিনসেড বসতঘর ধুমড়ে মুচড়ে যাওয়া ও ঘরের ভিতরের জিনিসপত্রের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কড়ই গাছটি দ্রুত অপসারণ ও ক্ষতিপূরণ দাবিতে বুধবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে আবেদন করেছেন ভুক্তভোগী রফিকুল ইসলাম পাটোয়ারী। সরেজমিন পরিদর্শন করে টিনসেড বসতঘরের উপর গাছটি পড়ে থাকতে দেখা গেছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে দায়েরকৃত আবেদনে উল্লেখ করা হয়, চৌদ্দগ্রাম বাজারস্থ উপজেলা খাদ্য গুদামের দক্ষিণ পাশের সীমানা প্রাচীর সংলগ্ন রফিকুল ইসলাম পাটোয়ারীর বসতঘর অবস্থিত। গত শুক্রবার সন্ধায় ঘুর্ণিঝড় মিধিলি’র প্রভাবে প্রচন্ড বাতাসে একটি বিশাল লম্বাকৃতি ও মোটা কড়ই গাছ হেলে পড়ে দেয়াল ভেঙে পাশে রফিকুল ইসলাম পাটোয়ারীর টিনসেড ঘরের উপর পড়ে।
এতে করে বসতঘরটি ধুমড়ে মুচড়ে যায় ও ঘরের ভিতরে থাকা জিনিসপত্র নষ্ট হয়েছে। এছাড়া আরও একটি সেমিপাকা ঘরের দেয়ালে ফাটল ধরেছে। এক সপ্তাহ অতিবাহিত হলেও হেলে পড়া গাছটি অপসারণ না করায় তিনি ঘরটি মেরামতও করতে পারছে না। ফলে পরিবার নিয়ে নিজঘরে বসবাস করাও অসম্ভব হয়ে পড়েছে। দীর্ঘদিন গাছটি হেলে পড়ে থাকায় তাঁর ঘর ভেঙে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। এজন্য তিনি উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের নিকট গাছটি দ্রুত অপসারণ ও ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন।
চৌদ্দগ্রাম খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আনোয়ার হোসেন সিরাজী বলেন, ‘ঘুর্ণিঝড় মিধিলির আঘাতে গুদামের একটি বড় গাছ হেলে পড়ে সীমানা প্রাচীরের একটি অংশ ভেঙ্গে গেছে। এতে পাশের বাড়ীর রফিকুল ইসলাম পাটোয়ারীর টিনের ঘর ভেঙ্গে যাওয়াসহ আরও ক্ষতি সাধিত হয়েছে। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানিয়েছি। নির্বাহী কর্মকর্তা বন বিভাগকে গাছটি সরিয়ে নেয়ার দায়িত্ব দিয়েছেন। আশা করছি, শিগগিরই গাছটি সরিয়ে নেয়া হবে’।
এ ব্যাপারে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ তানভীর হোসেন বলেন, ‘বিষয়টি জেনেছি। গাছটি সরিয়ে নেয়াসহ ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করা হবে’।
সময় জার্নাল/এলআর