মো. নিজাম উদ্দিন, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুরের চররমনী মোহনে একটি ব্রীজ নির্মাণের এক বছরের মধ্যেই ফাটল দেখা দিয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের আওতায় ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে প্রায় ৩২ লাখ টাকা ব্যয়ে ব্রীজটি নির্মাণ করে মেসার্স খোরশেদ আলম এন্ড ব্রাদার্স নামে একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। নির্মাণ কাজের তদারকি করে সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস।
স্থানীয়রা জানায়, প্রায় এক বছর আগে ব্রীজটির নির্মাণ কাজ শেষ করে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। তবে নির্মাণ কাজে অনিয়ম হওয়ায় ব্রীজের একটি অংশে ফাটল দেখা দেওয়ায় ঝুঁকিতে পড়েছে ব্রীজটি। তাদের আশঙ্কা, যে কোন সময় পুরো ব্রীজটি জোয়ারের পানিতে বিধ্বস্ত হয়ে যেতে পারে।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবু ইউসুফ ছৈয়াল বলেন, মানসম্মত ব্রীজ নির্মাণ না করায় জোয়ারের পানিতে ব্রিজে সমস্যা দেখা দিয়েছে।
সরেজিমেন দেখা গেছে, লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চররমনী মোহন ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়ির পশ্চিম পাশের কাছিয়ার খালের উপর নির্মিত ব্রীজের পশ্চিম-উত্তর পাশের সাপোর্ট ওয়ালটি একেবারে বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। ওয়ালটি ফেটে মূল ব্রীজ থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এছাড়া ব্রীজের পশ্চিম-দক্ষিণ পাশেও ফাটল দেখা দিয়েছে। ফলে ব্রীজটি এখন ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে।
জানা গেছে, ব্রীজের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ‘মেসার্স খোরশেদ আলম এন্ড ব্রাদার্স’ হলেও সেটি নির্মাণ কাজ করেন নজরুল ইসলাম ভুলু নামের আরেক ঠিকাদার। তিনি জানান, ব্রীজটি ঠিকমতো নির্মাণ করা হয়েছে। কিন্তু প্রাকৃতিক দুর্যোগে জলোচ্ছ্বাস হওয়ার কারণে ফাটল দেখা দিয়েছে।
সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোশারেফ হোসেন প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ব্রীজের ফাটল দেখা দিয়েছে বলে দাবি করেন।
এ ব্যাপারে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মাসুম বলেন, ‘ব্রীজটি যে ঠিকাদার নির্মাণ করেছে, তাকে দিয়েই সেটি মেরামতের কাজ করানো হবে।’
সময় জার্নাল/এসএ