শামীম হোসাইন রিগান, পিরোজপুর প্রতিনিধি:
পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলার টগরা- ইন্দুরকানী -কলারণ-সন্ন্যাসী সড়কের ঘোষের হাট এলাকায় সড়কে ফাটল ধরে একাংশ দেবে গেছে। এতে এই সড়ক দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলাচল করছে। দেবে যাওয়া অংশে চাকা পড়ে গাড়ি উল্টে গিয়ে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। এই পরিস্থিতিতে দ্রুত সড়কটি সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
স্থানীয় কয়েকজন জানান, চার মাস আগে টগরা- ইন্দুরকানী -কলারণ-সন্ন্যাসী সড়কের সংস্কারকাজ শেষ হয়। কাজ শেষ হওয়ার কিছুদিন পর উপজেলার ঘোষের হাট এলাকার জাকির হোসেনের বাড়ির সামনের সড়কের ৩৫০ ফুট জায়গা ফাটল ধরে। এরপর সড়কের ওই অংশ দেবে যায়। দেবে যাওয়া অংশ দিয়ে যানবাহন চলাচল করতে সমস্যা হচ্ছে। একসঙ্গে দুটি গাড়ি সড়কের ওই অংশ দিয়ে অতিক্রম করতে পারছে না।
স্থানীয় লোকজন আরও বলেন, এটি উপজেলার প্রধান সড়ক। এই সড়ক দিয়ে উপজেলা সদর থেকে জেলা সদরে, হাসপাতাল, হাটবাজার ও ইউনিয়ন পরিষদে যাতায়াত করতে হয়। এ ছাড়া বাগেরহাটের শরণখোলা ও মোড়েলগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে এ সড়ক দিয়ে লোকজন যাতায়াত করেন। এই সড়ক দিয়ে যাত্রীবাহী বাস, ট্রাকসহ প্রতিদিন ৫০০ যানবাহনে দুই হাজার থেকে তিন হাজার মানুষ চলাচল করেন।
সড়কটির ঘোষের হাট এলাকায় কয়েকটি স্থানে বড় বড় ফাটল সৃষ্টি হয়েছে। কয়েকটি স্থানে ফাটলের কারণে সড়ক দেবে গেছে। কোথাও গর্ত হয়ে গেছে। সড়কটি দিয়ে একটি গাড়ি চলাচল করলে আরেকটি গাড়ি অপেক্ষা করতে হয়। একসঙ্গে দুটি যানবাহন চলাচল করতে পারে না। সড়কের একাংশ দেবে যাওয়ায় যানবাহন চলাচল করার সময় হেলে যায়।
উপজেলার ঘোষের হাট গ্রামের রাজু বলেন, দ্রুত সংস্কার করা না হলে সড়কের এই অংশ ভেঙে খালে বিলীন হয়ে যাবে। ভেঙে যাওয়া সড়কে প্রায়ই যানবাহন উল্টে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটে। গত শনিবার একটি ইজিবাইক উল্টে দুজন যাত্রী আহত হয়েছেন।
ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকচালক মিঠু বলেন, সড়কটি ভেঙে দেবে যাওয়ার কারণে দুর্ঘটনা ঘটছে। একটি গাড়ি গেলে আরেকটি গাড়িকে অপেক্ষা করতে হয়। দুটি গাড়ি একসঙ্গে চলতে পারে না। তিন মাস ধরে সড়কটি বেহাল হয়ে আছে। অথচ সংস্কারের কোনো উদ্যোগ নেই।
ইন্দুরকানী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম মতিউর রহমান বলেন, টগরা- ইন্দুরকানী -কলারণ-সন্ন্যাসী সড়ক উপজেলা প্রধান সড়ক। এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন বাস, ট্রাকসহ কয়েক শ যানবাহন চলাচল করে। সড়কটির ফাটল ধরা অংশ দ্রুত সংস্কার করা না হলে খালে বিলীন হয়ে যাবে। তখন উপজেলার সঙ্গে জেলা সদরের সরাসরি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হবে।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) পিরোজপুর কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী তানভীর আহমেদ বলেন, ‘সড়কের ওই অংশে খালের ভাঙনের কারণে ফাটল ধরেছে। মেসার্স মাহফুজ খান লিমিটেড নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সড়কের সংস্কার করেছে। আমরা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে ভেঙে যাওয়া সড়ক মেরামত করে দিতে বলেছি। তারা কয়েক দিনের মধ্যে কাজ শুরু করবে।’
সময় জার্নাল/এলআর