মো. জাহিদুল হক, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি:
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) বর্ণাঢ্য আয়োজনে পালিত হলো জাতীয় বিজয় দিবস।
শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় স্বাধীনতা স্মারক ভাষ্কর্যে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে বিজয় দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়। পরে ১১টার দিকে স্বাধীনতা ভাষ্কর্য চত্ত্বর থেকে বঙ্গবন্ধু চত্ত্বর পর্যন্ত বিজয় র্যালি এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। তারপর বেলা ১১:৪৫ এর দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জারুলতলায় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় আইন অনুষদের ডিন আব্দুল্লাহ আল ফারুক বলেন, ৫২ তম বছরে বাংলাদেশেরর অনেক অর্জন, বিভিন্ন সূচকে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় এগিয়ে গেছে। বাংলাদেশ এখন এক সমৃদ্ধ ঝুড়ি। বঙ্গবন্ধু তনয়ার হাত ধরে আজ অর্থনীতি, স্বাস্থ্য খাতে অনেক দূর এগিয়ে গেছে। বাংলাদেশের এই অর্থনীতিকে সমুজ্জ্বল রাখতে শেখ হাসিনার সরকারকে আবার প্রয়োজন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে উপ-উপাচার্য বেনু কুমার দে বলেন, ডিসেম্বর মাস যেমন আনন্দের তেমনি কষ্টেরও বটে। আমরা এ মাসে অসংখ্য বুদ্ধিজীবীদের হারিয়েছে। আমাদের এই বিজয় দিবস এত সহজে আসেনি। আমাদের অনেক ত্যাগ-তিতিক্ষা স্বীকার করতে হয়েছে। ভৌগোলিক কারণে এ দেশকে ধ্বংস করার জন্য বসে আছে সাম্রাজ্যবাদীরা। বঙ্গবন্ধু পর্যাপ্ত সুযোগের অভাবে শিক্ষাব্যবস্থাকে ভালোভাবে ঢেলে সাজাতে পারেননি। ড. কদরতে গোদার শিক্ষা কমিশন বাস্তবায়ন করতে পারেনি। কিন্তু শেখ হাসিনা এখন শিক্ষা ব্যাবস্থা নতুন করে ঢেলে সাজাচ্ছেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার বলেন, আমরা যখন বিজয় দিবসের কথা চিন্তা করি তখন একজনের কথা মনে পড়ে। একটি মানুষকে ছাড়া বিজয়ের চিন্তা আমরা করতেই পারিনা। তিনি হলেন মানবতার বন্ধু, বিশ্বনেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ছোটবেলা থেকেই তার মাঝে নেতৃত্বের গুণাবলি বিরাজমান ছিলো। তিনি তার পুরোটা জীবন এই বাঙালি জাতির জন্য উৎসর্গ করে গেছেন। বিনম্র শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন মুজিব-সহ বেগম ফজিলাতুন্নেছা এবং মুক্তিযুদ্ধের সময় যারা অকাতরে তাদের প্রাণ বিসর্জন দিয়েছিলেন।
বিজয় দিবস সম্পর্কে তিনি বলেন, আমাদের অর্জনের অভাব নেই। ঢাকার মোহাম্মদপুরে যেতে এখন ১৫মিনিট লাগে। পদ্মাসেতুতে উঠলে মনে হয় বিদেশের কোনো দেশে আছি। কর্ণফুলী টানেলের ভিতর দিয়ে গেলে বুকটা আনন্দে ভরে যায়। আমি ১৯০৬ সালের দিকে আমেরিকায় গিয়েছিলাম তখন এমন টানেলের ভিতর দিয়ে গিয়েছিলাম। আর এখন আমার দেশেও বহির্বিশ্বের মতো বড় বড় অর্জনের সূচনা ঘটেছে।
এমআই