শারমিন আক্তার কেয়া, কুবি প্রতিনিধি:
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শিক্ষার্থীদের আবাসিক হল নওয়াব ফয়জুন্নেছা চৌধুরাণী হলে বিজয় মেলার আয়োজন করা হয়। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ১৬ ডিসেম্বর দিনব্যাপী চলে এই মেলার আয়োজন।
মেলায় হলে আবাসিক বিভিন্ন উদ্যোক্তা শিক্ষার্থীরা নিজেদের হাতে তৈরি বিভিন্ন ধরনের গয়না, শাড়ি ও পাঞ্জাবি দিয়ে ‘শ্বেতপদ্ম', ‘প্রত্নের রত্ন' ইত্যাদি নামে নিজেদের স্টল সাজিয়ে বেচাকেনায় মেতে ওঠে শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি বিজয় মেলার অন্তর্ভুক্ত হিসেবে আয়োজিত মেহেদী উৎসবে শুভেচ্ছা মূল্য বিশ টাকায় শিক্ষার্থীরা একে অপরকে মেহেদীতে রাঙিয়ে দেন ‘মেহেদী কর্নার' নামক স্থানে বসে।
শ্বেতপদ্মের কর্ণধার ও হলের আবাসিক শিক্ষার্থী আসমা আক্তার মুক্তা বলেন, ‘হল প্রভোস্ট ও অর্গানাইজিং কমিটিতে যারা আছেন তারা প্রথমবারের মতো এমন উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। এর আয়োজনের মাধ্যমে আমরা পুরাতন ও নতুন উদ্যোক্তা যারা আছি তারা নিজেদের পণ্যকে অন্যদের সামনে প্রদর্শন করতে পারছি এবং পাশাপাশি নিজেদের পরিচিতি তৈরি করতে পারছি।'
নাহিদা আক্তার নীড়া বলেন, ‘হলে আয়োজিত বিজয় মেলায় যে বিভিন্ন ধরনের স্টল ছিলো তার মধ্যে মেহেদী কর্নার একটি। এর মাধ্যমে আমরা সবাই নিজেদের হাতকে বিজয়ের রঙে রাঙিয়ে তুলতে পেরেছি। এতে শুভেচ্ছা মূল্য নির্ধারণ করা হয় মাত্র ২০ টাকা। আমরা তিনজন সেখানে মেহেদী ডিজাইনার হিসেবে ছিলাম হলের সিনিয়র-জুনিয়র সবাইকে মেহেদীর রঙে রঙ্গিন করে তোলার জন্য। যেহেতু শুভেচ্ছা মূল্য খুবই কম তাই তেমন বেশি উপার্জন করার সুযোগ না হলেও উৎসবের আমেজ, আনন্দ-ফূর্তির কমতি ছিলো না এতটুকুও।'
স্টলে ঘুরতে আসা হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ফারজানা আফরিন বলেন, ‘নওয়াব ফয়জুন্নেছা চৌধুরাণী হলের একজন আবাসিক ছাত্রী হিসেবে এই দিনটাকে ভালভাবে উদযাপন করার সুযোগ হয়েছে। কেননা এই প্রথমবারের মতো ১৬ই ডিসেম্বরে আমাদের হলে উদযাপিত হয়েছে বিজয় মেলা। যেখানে আমাদের হলেরই নারী উদ্যোক্তারা তাদের জিনিসপত্র নিয়ে মেলা দিয়েছে। এটা তাদের ব্যবসার জন্য একটা মার্কেটিং এর সুযোগ করে দিয়েছে। এছাড়া আরো ছিলো মেহেদী কর্নার। যেখানে আমরা মেয়েরা কেউ কেউ নিজে হাতে মেহেদী দিয়েছে, আবার কেউ এক্সপার্টদের মাধ্যমে দিয়েছে।'
আয়োজিত বিজয় মেলা নিয়ে হল প্রভোস্ট জিল্লুর রহমান বলেন, ‘সবাইকে বিজয়ের শুভেচ্ছা। এইবার প্রথম বারের মত হলের আবাসিক ছাত্রীদের উদ্যোগে হল প্রশাসনের সহযোগিতায় ছাত্রীদের নিজের হাতে তৈরি বিভিন্ন পণ্য প্রদর্শনী ও বিক্রয়ের মধ্য দিয়ে বিজয় মেলার আয়োজন করা হয়েছে। এই আয়োজনের মাধ্যমে আমি মনে করি ছাত্রীদের সৃজনশীলতা বৃদ্ধি পাবে, পাশাপাশি উদ্যোক্তা সৃষ্টিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।'
এমআই