সময় জার্নাল রিপোর্ট : এ বছর শিখনফলের ভিত্তিতে সংক্ষিপ্ত পাঠ্যসূচি প্রণয়ন করা হয়েছে এবং সে অনুযায়ী ৬০ দিন ক্লাস করিয়ে এসএসসি এবং ৮৪ দিন ক্লাস করিয়ে এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়া হবে। এছাড়া পরের বছরেও এই সংক্ষিপ্ত পাঠ্যসূচীর ভিত্তিতে এসএসসি পরীক্ষার জন্য ১৫০ দিন এবং এইচএসসি পরীক্ষার জন্য ১৮৪ কর্মদিবসের ক্লাসের হিসাব করে নতুন এ পাঠ্যসূচি করা হয়েছে।
বুধবার আয়োজিত অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী সরকারের এ সিদ্ধান্ত জানান।
তিনি বলেন, পাঠ্যসূচির কিছু অংশ অ্যাসাইনমেন্টের মাধ্যমেও মূল্যায়ন করা হবে। যা আগামী জুন থেকে সপ্তাহে দুটি করে অ্যাসাইনমেন্ট জমা দেওয়া শুরু করা হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার পর প্রথমদিকে এ বছর ও আগামী বছরের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য সপ্তাহে ছয় দিন ক্লাস করানো হবে। প্রথম দিকে অন্যান্য শ্রেণীর ক্লাস করে সপ্তাহে একদিন। এরপর ক্রমাগতভাবে বাড়িয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে এলে পূর্ণাঙ্গভাবে শিক্ষা কার্যক্রম চলবে। এ বছরের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার সম্ভাব্য তারিখ ক্লাস শুরুর পরে জানিয়ে দওয়া হবে।
এবার পরীক্ষা ছাড়াই এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থী সবাইকে পাস করানোর সুযোগ খুব কম বা দেওয়া ঠিক হবে না বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, গত বছর পরীক্ষা ছাড়াই শিক্ষার্থীদের জেএসসি ও এসএসসির গড় ফলের ভিত্তিতের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হয়েছিল। এর ফলে সব শিক্ষার্থীই পাস করেছিলেন।
পরীক্ষার সময়সূচির বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সাধারণত বছরের ফেব্রয়ারী মাসে এসএসসির এবং এপ্রিল মাসে এইচএসসি পরীক্ষা হতো। কিন্তু করোনার কারণে গত বছর থেকে পুরো শিক্ষাপঞ্জিই এলোমেলো হয়ে গেছে।
সময় জার্নাল/আরইউ