শারমিন আক্তার কেয়া, কুবি প্রতিনিধি:
'আমি আমার আমিকে চিরদিন, এই বাংলায় খুঁজে পাই' এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে অনুষ্ঠিত কুবির বাংলা বিভাগের সপ্তাহব্যাপী 'বাংলা উৎসব ১৪৩০' এর সমাপনী দিনে নবীনবরণ বিদায় সংবর্ধনা ও শিক্ষক সম্মাননা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ৫০১ নাম্বার রুমে বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ শামসুজ্জামান মিলকীর সভাপতিত্বে বিভাগের ১৩তম আবর্তনের শিক্ষার্থী সোহাগ আহমেদ ও ১৬ তম আবর্তনের শিক্ষার্থী আফরিন উল আলম রিমুর সঞ্চালনায় এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
প্রথমে নবীনদের বরণ, পরে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করায় বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সুমাইয়া আফরিন সানি ও নাহিদা বেগমকে শিক্ষক সম্মাননা প্রদান করা হয়৷ পরে প্রবীণদের বিদায় সংবর্ধনা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। শেষে সপ্তাহব্যাপী অনুষ্ঠিত ক্রীড়া প্রতিযোগিতাসহ অন্যন্য পুরস্কার দেয়া হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন। তিনি বলেন, 'নবীনদের যাত্রা শুভ হোক এবং যারা বিদায় নিচ্ছে তাদের জন্য শুভকামনা। কর্মক্ষেত্রে নিজের যোগ্যতা, দক্ষতার মাধ্যমে কাজ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম ছড়িয়ে দিবে এমনটা প্রত্যাশা করি। বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে বাংলা বিভাগ প্রতিটি ক্ষেত্রেই সাফল্য অর্জন করেছে। তাদের এই ধারা অব্যাহত থাকুক। '
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ শামসুজ্জামান মিলকী বলেন, 'বিশ্ববিদ্যালয়ে অবকাঠামোগত নানা সীমাবদ্ধতা থাকে, কিন্তু বিদ্যাচর্চার মাধ্যমে জ্ঞানার্জনের ক্ষেত্রে কোনো সীমাবদ্ধতা থাকে না। শিক্ষাজীবন সমাপনান্তে সুন্দর কর্মজীবন সকলেরই আরাধ্য। শিক্ষিত জনগোষ্ঠী হিসেবে সমাজের ব্যথিত-পীড়িত মানুষের অব্যক্ত ভাষা বোঝার চেষ্টা করতে হবে। অর্থ-বিত্ত-যশ লাভের মোহে মনুষ্যত্ব হারালে চলবে না। কেননা, ভন্ড লক্ষপতি অপেক্ষা দরিদ্র তপস্বী ঢের ভালো। মনে রাখতে হবে, সৎ থাকার চেয়ে মহৎ শক্তি আর কিছু নেই।'
এছাড়াও এ অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির, কলা ও মানবিক অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ গোলাম মাওলাসহ বিভাগের অন্যান্য শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
উল্লেখ্য, গত ১২ ডিসেম্বর সোমবার থেকে শুরু হয় বাংলা উৎসব-১৪৩০। পরে সপ্তাহব্যাপী খেলাধুলা, নাচ-গান, বিভিন্ন প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বাংলা উৎসব পালন করে বিভাগের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা। আজ সন্ধ্যায় মুক্তমঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শেষ হবে বাংলা উৎসব-১৪৩০।
এমআই