আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
দুই মাসের বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধে বিধ্বস্ত ফিলিস্তিনের গাজা। কিন্তু তারপরও বোমা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। সবশেষ নুসিরাত শরণার্থী শিবির ও খান ইউনুসে হামলার খবর পাওয়া গেছে।
এমন পরিস্থিতিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান সতর্ক করে জানিয়েছেন, গাজায় দুর্ভিক্ষ আসন্ন হয়ে পড়ছে। কারণ তীব্র লড়াইয়ের কারণে মানবিক সহয়তাসহ কোনো কিছুই সেখানে পাঠানো যাচ্ছে না।
যদিও গাজায় মানবিক সহায়তা পাঠাতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে একটি প্রস্তাব পাস হয়েছে। তবে মানবিক সংগঠনগুলো বলছে, যুদ্ধবিরতির দাবি ছাড়া কোনো কিছুই যথেষ্ট হতে পারে না।
শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) রাতে প্রস্তাবটি পাস হয়। প্রস্তাবের পক্ষে নিরাপত্তা পরিষদের মোট ১৫ দেশের মধ্যে ১৩টি ভোট দিলেও যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া ভোটদানে বিরত ছিল।
এর আগে গত ১৫ ডিসেম্বর নিরাপত্তা পরিষদে প্রস্তাবটি তোলে সদস্য দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত। প্রথমে এতে ‘অবিলম্বে লড়াই বন্ধের’ আহ্বানের কথা বলা হয়েছিল। তবে গত কয়েক দিনে যুক্তরাষ্ট্রের চাপের মুখে প্রস্তাবের ভাষায় পরিবর্তন আনা হয়েছে।
গাজার সরকারি অফিস জানিয়েছে, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এখন পর্যন্ত অন্তত ২০ হাজার ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। তাছাড়া হামাসের হামলায় প্রায় ১২০০ ইসরায়েলি নিহত হয়েছেন।
হামাসের বিরুদ্ধে অভিযানের নামে সেখানে প্রতিদিনই শত শত নিরীহ ফিলিস্তিনির ওপর বর্বর হামলা চালানো হচ্ছে। এর আগে জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেস বলেছেন, গাজায় খাদ্য সংকট ও বাস্তুচ্যুত লোকজনের মধ্যে বড় আকারে মানবিক সহায়তা সরবরাহের জন্য বর্তমান পরিস্থিতির উন্নতি করতে হবে।
সময় জার্নাল/এলআর