মো. মাইদুল ইসলাম: প্রয়োজনে আমাদের ক্লাশ শপিং মলে শিফট করবো, শপিং মলেই ক্লাস করবো। ১ জুন থেকেই বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়ার দাবিতে আজ শাহবাগে সমাবেশকালে এ কথা বলেন এক শিক্ষার্থী। এ সময় তিনি বলেন, যদি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে না দেন রাস্তাঘাট, শপিংমল খোলা আর সেখানে যেহেতু করোনা ছড়াচ্ছে না তাই সেখানেই ক্লাস করবো।
তারা বলেন, এই ১৪ মাস পিছিয়ে যাওয়ায় মধ্যবিত্তদের কত ক্ষতি হয়েছে তা পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব নয়। আমরা চাই ক্যাম্পাস খুলে দেন, গ্রাজুয়েশন শেষ করে আমরা দ্রুত পরিবারের হাল ধরতে চাই।
১ জুন থেকেই বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়ার দাবিতে বৃহস্পতিবার (২৭ মে) বেলা ১২ টায় রাজধানীর শাহবাগে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে শিক্ষার্থীরা। সমাবেশ শেষে শিক্ষামন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি দেন শিক্ষার্থীরা।
এছাড়াও টাঙ্গাইল, ফেনী, চট্রগ্রাম, ময়মনসিংহ, রাজশাহী বিশবিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সহ দেশের অন্যান্য জায়গায় একই দাবিতে সমাবেশ করেছে শিক্ষার্থীরা।
এসময় শিক্ষার্থীরা বলেন, শিক্ষামন্ত্রী ১৩ জুন থেকে স্কুল কলেজ খোলার ব্যাপারে বললেও বিশ্ববিদ্যালয় খোলা নিয়ে স্পষ্ট কিছু বলেনি। বলা হচ্ছে ভ্যাক্সিন নিশ্চিত করে ক্যাম্পাস খোলা হবে। কিন্তু তার নির্দিষ্ট কোন তারিখ বলা হয়নি। আমার চাই ১ জুনের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের খুলে দেওয়া হোক। এবং আঁটকে থাকা পরীক্ষাগুলো নেয়া শুরু হোক।
এ সময় শিক্ষার্থীরা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা স্বাস্থ্য সচেতন। আপনারা ক্যাম্পাস খুলে দিন আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্লাস করবো।
দেশের সব কিছু খোলা আছে, তাহলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ কেনো? শ্রমিকরা যদি স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে পারে তাহলে আমরাও পারবো।
উপস্থিত শিক্ষার্থী বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খলার কথা বললেই সবাই বলে খোলার পর শিক্ষার্থীর করোনা আক্রান্ত হলে তার দায় কে নিবে? আমার মনে হয় শিক্ষার্থীর দায়ভার যদি কাউকে নিতে হয় তবে যেকোনো পরিস্থিতিতে নেয়া হোক। শুধু মাত্র ক্যাম্পাস খোলার পর দায় ভার নেয়া মানে বোকামি। সব শিক্ষার্থী তো শুধু আর পড়াশোনাই করেনা। কারো কারো পরিবারের দায়িত্ব ও রয়েছে নিজের ওপর। তাকে কাজে যেতে হয়। সে ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীর দায় ভার কতোটুকু নেয়া হয়?
উপস্থিত শিক্ষার্থীরা আরো বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে না দিলে আমরা কঠোর আন্দোলনে যাবো। আমাদের সাথে এমন অবহেলা সহ্য করা হবে না।
সময় জার্নাল/এমআই