বুধবার, ডিসেম্বর ২৭, ২০২৩
ঝালকাঠি প্রতিনিধি
ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলায় যেখানে সেখানে গড়ে উঠেছে ইটভাটা। ইটের জন্য আশপাশের মাটি কাটতে কাটতে আবাদি জমি দিনের পর দিন কমে যাচ্ছে। এমনটি চলতে থাকলে অচিরেই ফসল উৎপাদন বন্ধ হয়ে এলাকায় খাদ্য সংকট দেখা দেবে বলে আশঙ্কা স্থানীয় কৃষকদের।
উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও পৌর এলাকায় ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে উঠেছে অবৈধ ইটভাটা। কোন নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে এসব ইট ভাটায় পোড়ানো হচ্ছে কাঠ। যাতে পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে। স্থানীয়দের দীর্ঘ মেয়াদি শারিরীক সমস্যার সম্মুখিন হতে হচ্ছে।
কুলকাঠির স্থানীয় বাসিন্দা সোহরাব খান বলেন, এসব ইটভাটায় অবাধে পোড়ানো হচ্ছে কাঠ। এছাড়া কৃষি জমি নষ্ট করে শুকানো হচ্ছে কাঁচা ইট। পাশ্ববর্তী সুগন্ধা নদীর তীর থেকে মাটি কেটে আনা হচ্ছে ফলে নদীর ভাঙ্গন দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে অচিরেই নদী গর্ভে ঘর বাড়ি বিলীন হয়ে যাবে।
উপজেলার মগড়, দপদপিয়া ও পৌর এলাকার বিভিন্ন ইটভাটা ঘুরে দেখা গেছে বেশিরভাগ ইটভাটায় পোড়ানো হচ্ছে কাঠ এবং গাছের ঘুরি। কেউ পরিবেশ অধিদপ্তরের নিয়ম কানুন মানছেন না। কুলকাঠি ইউনিয়ন ও পৌর এলাকার মাঝামাঝি অবস্থিত টিটিসি ব্রিকস এ কৃষি জমি নষ্ট করে ইট তৈরি ও শুকানো হচ্ছে। ইটভাটার মালিক কবির তালুকদার মুঠো ফোনে এ প্রতিবেদক কে জানান, আমার ইটভাটার লাইসেন্স প্রক্রিয়াধীন আছে।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম বলেন, সরকারি নিয়ম রয়েছে এক কিলোমিটার পর পর ইটভাটা স্থাপন করতে হবে; কিন্তু অত্র এলাকায় বেশিরভাগ ইটভাটাই কোনো নিয়মনীতি না মেনে তৈরি করেছে। খুব শিগগির এসব অবৈধ ইটভাটায় অভিযান পরিচালনা করা হবে।
নলছিটি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বলেন, ইটভাটার কারণে ফসলি জমির ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। তাই কৃষিজমির মাটি কাটা ও অপরিকল্পিতভাবে ইটভাটার অনুমোদন বন্ধ হওয়া উচিত।
এ বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তর, বরিশাল বিভাগের উপ পরিচালক, এ এইচ এম রাশেদ জানান, ভাটায় ইট পোড়াতে কাঠ পোড়ানো যাবে না। কোনো কৃষিজমি নষ্ট করে ইটভাটা করা যাবে না, আইনগতভাবে এটা নিষিদ্ধ। অবৈধ ইটভাটা থাকলে সেগুলো বন্ধ করে দেওয়া হবে। চিমনিবিহীন ইটভাটার কোন অনুমোদন নেই। আর অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে শিগ্রই অভিযান পরিচালনা করা হবে।
আরইউ