সময় জার্নাল প্রতিবেদক:
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এডভোকেট ডক্টর কাজী শাহানারা ইয়াসমিন বলেছেন, যতই একটা দল ভয়, হুমকি দিক তারপরেও ভোটাররা ভোট দিতে আসবে। ভোট দেয়া মৌলিক অধিকার, এটাকে ঠেকানো বেআইনি পথ। এটাও যদি মানুষ বুঝতে পারে যে বেআইনিটা আমরা মেনে নিবোনা তাহলে ইনশাল্লাহ স্বতস্ফুর্তভাবে মানুষ ভোট কেন্দ্রে আসবে।
তিনি বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ৭ই জানুয়ারি হবে, আমি আশাবাদী ভোটাররা ভোট দিতে আসবে বিশেষ করে নারী ভোটাররা।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে একটি স্মার্ট বাংলাদেশ গড়বে আওয়ামী লীগ উল্লেখ করে এডভোকেট ডক্টর কাজী শাহানারা ইয়াসমিন বলেন, আওয়ামী লীগ ইশতেহার ঘোষণা করেছেন। এ ইশতেহারে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি, দ্রব্যমূল্য ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসা, গণতান্ত্রিক চর্চার প্রসার, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা, আর্থিক খাতে দক্ষতা বৃদ্ধি, স্বাস্থ্যসেবা সুলভ করা, আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলাসহ ১১টি বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। ইশতেহারে সুশীল সমাজ, পেশাজীবী, তরুণসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের মতামত গুরুত্ব পেয়েছে। ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে জাতির সামনে যে ইশতেহার ঘোষণা করেছিল তা অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে বাস্তবায়ন করেছে আওয়ামী লীগ। এবারও সে ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে।
তিনি বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিষয়ে আওয়ামীলীগ নির্বাচনে যাবে এটা হলো সময়োপযোগী এবং সংবিধান অনুযায়ী। আওয়ামীলীগ ইচ্ছা করে নির্বাচনে যায়নি এটা সংবিধান বেঁধে দেয়া, যে সরকারই থাকতো নির্বাচন তাকে করতে হতো। সংবিধানপরিবর্তন না করা পর্যন্ত কেয়ার টেকার যদি না আসে তাহলে কনস্টিটিউশন অনুযায়ী নির্বাচন হবে, হচ্ছে।
নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর বিষয়ে ডক্টর কাজী শাহানারা ইয়াসমিন বলেন, শুধুই কী আপনাদের চোখে এটাই ধরা পড়লো যে আওয়ামীলীগের প্রার্থী শুধু তারাই স্বতন্ত্র আসছে? তিনি বলেন, আওয়ামীলীগ তো একসময় সবাই ছিল। স্বাধীনতার সময় তো আওয়ামীলীগ ছাড়া কেউ ছিলেন না। এখন কে মনে প্রাণে আওয়ামীলীগকে ধরে রেখেছে এটা তো ব্যক্তি ব্যাপার। যে কেউ ইলেকশনে আসতে পারে যদি ক্রায়েটিরিয়া পূর্ণ করে। ডামি, স্বতন্ত্র যে কথাগুলো আসছে এগুলো সঠিক না।
বিএনপির এ নির্বাচনকে ডামি নির্বাচন বলার বিষয়ে তিনি বলেন, বিএনপি তো বলবেনই। বিএনপি তো একটা দল, একসময় বিরোধী দল ছিল তারপরে গত দুই নির্বাচনে না আসায় ওনারা বিরোধী দল থেকেও বেরিয়ে গিয়েছেন। ওনারা গত নির্বাচনে আসেনাই, এবারও আসছেন না। ওনারা নির্বাচনকে প্রশ্নবোধক করার জন্য লিফলেট বিতরণ করে ভোটারদের নিরুসাহিত করবে না আসার জন্য।
জাতীয় পার্টির প্রার্থীর পোস্টারে আওয়ামীলীগ সমর্থিত লেখার বিষয়ে ডক্টর ইয়াসমিন বলেন, ইলেকশন একটা কঠিন বিষয়। সবাই চায় বিজয়। এজন্য যার যেমন করা দরকার সে সেটাই করছে কিন্তু এখানে নেত্রির কোন আদেশ-নির্দেশ আছে এধরনের কথা কিন্তু নেই। বিতর্ক সৃষ্টি কে কোথা থেকে করবে এটা বলা মুশকিল।
বিএনপি বিহীন নির্বাচন হচ্ছে তাতে আওয়ামীলীগ রাজনিতিকভাবে স্বস্থিতে আছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আওয়ামীলীগ স্বস্থিতে আছে কিনা সেটার চেয়ে বড় হলো জনগনকে তারা স্বস্থিতে রাখছেন কিনা। কনস্টিটিশনে আছে জনগন সকল ক্ষমতার উৎস, যদি বিএনপি জনগনকে সাথে নিতে পারতো তাহলে তো নির্বাচন অন্যরকম হত। জনগনকে তো কাছে নিতে পারেনাই। জনগনের জোয়ার হল প্লাবনের থেকে বড়। জনগনকে কাছে নিতে না পারলে আপনি ইলেকশনের ট্রেন ফেল করবেন, টাইম ও ফেল করবেন এবং পরবর্তীতে লিফলেট দিয়ে বলতে হবে তোমরা ভোট সেন্টারে এসো না।
যদি ভোটররা ভোট দিতে না পারে সেখান থেকে যে সংকট তৈরি হবে তা কিভাবে মোকাবেলা করা হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভোটার যাবে কি যাবেনা সেটা আগে বলাটা কষ্টকর। আমরা ক্যাম্পিনে যেয়ে দেখেছি তাতে প্রচন্ড রকমের সাড়া এসেছে। এবং আপনারা দেখছেন বিভিন্ন জায়গায় প্রর্থীরা গেলে সেখানে জনসমাগম হচ্ছে। এতে বুঝা যায় যে মানুষ কিছুটা হলেও আগ্রহী। অনেকের মধ্যে ধারণা তৈরি হয়েছে ভোট দিতে পারবো কিনা? এবার সেটা এনসিওর করা হয়েছে আপনার ভোট আপনি দিবেন, যাকে খুশি তাকে দিবেন। কাউকে দেয়ার চাপ নেই। আমি যে সাড়া দেখেছি আশা করি এবার ম্যাক্সিমাম ভোটার যাবে।
এমআই