এম. পলাশ শরীফ, বাগেরহাট : বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জে নদীর তীরবর্তী গ্রামগুলোতে এখনো প্রায় ১৫ হাজার পরিবার পানিবন্দী অবস্থায় রয়েছে। ঘূর্ণিঝড় ইয়াস ও পূর্ণিমার প্রভাবে জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চয়ে ৫-৬ ফুট বৃদ্ধি পাওয়ায় ওয়াবদার বেড়িবাধ, স্থানীয় সরকার বিভাগের রাস্তা ভেঙ্গে পানি ঢুকে পড়ে। ফলে শতশত কাঁচা বসত ঘর, বহু কাচা-পাকা রাস্তা ভেঙ্গে নদীগর্ভে চলে গেছে।
ইউনিয়ন চেয়ারম্যানদের নিকট থেকে পাওয়া তথ্যমতে পঞ্চকরণ, বলইবুনিয়া ও তেলীগাতী ইউনিয়নে পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রায় ১০ কিলোমিটার বেরিবাধসহ খাউলিয়া, মোরেলগঞ্জ সদর, পৌরসভা, বারইখালী ও হোগলাবুনিয়া ইউনিয়নের কমপক্ষে ১১০ কিলো মিটার জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
১ হাজার ২২টি চিংড়ি মাছের ঘের ডুবে ১ কোটি ১৯ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিনয় কুমার রায় জানিয়েছেন। অতিরিক্ত স্রোত ও পানির কারনে ফেরি চলাচল ব্যহত হয়েছে। চরম দুর্ভোগে পড়ে দূর পাল্লার পরিবহন ও যাত্রীরা।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. রোকনুজ্জামান বৃহস্পতিবার রাত ৯ টায় বলেন, নদীর তীরবর্তী ও নীচু এলাকার প্রায় ১৫ হাজার পরিবারের লোক ও গবাদি পশু পানিবন্দী অবস্থায় আছে। বহু পরিবারের রান্নার কাজ বন্ধ রয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলোকে সরকারি সাহায্য পৌছে দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।
স্থানীয় সংসদ সদস্য অ্যাড. আমিরুল আলম মিলন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী বিশ্বজিৎ বৈদ্য, সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলী ফরিদ উদ্দিন, জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাড. শাহ্-ই-আলম বাচ্চু, উপজেলা নির্বাহী র্কর্মকর্তা, পৌরসভা মেয়র মনিরুল হক তালুকদার, জেলা পরিষদ সদস্য অধ্যাপিকা আফরোজা আক্তার লিনা, ভাইস চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক মোজাম, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাহিমা খানম অধীক ক্ষতিগ্রস্থ এলাকাগুলো পরিদর্শন করেছেন।
এ সম্পর্কে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে রাস্তাঘাট, মৎস্য সম্পদ ও কাঁচা বাড়ি ঘরের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। যার হিসেব নিরূপনের কাজ এখনো শেষ হয়নি।
সময় জার্নাল/এমআই