মোঃ ইমরান মাহমুদ, জামালপুর প্রতিনিধি : জামালপুর সদর আসনের স্বতন্ত্র ঈগল প্রতীকের প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা রেজাউল করিম রেজনু সকল কেন্দ্রে অবৈধভাবে সিল মারার অভিযোগ তুলেছেন। সেই সাথে তিনি নির্বাচন স্থগিত করে পুনর্নির্বাচনের দাবি করেছেন। এ নিয়ে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাছে লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে।
রবিবার (০৭জানুয়ারি) দুপুর ৩ টার দিকে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি করেন।
সংবাদ সম্মেলন এবং অভিযোগপত্র সূত্রে জানা যায়, 'আমার পুলিং এজেন্টদের মারধর করে কেন্দ্র থেকে বের করে দিয়েছে। সদর উপজেলার ১৫টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার সকল কেন্দ্রে ব্যালট পেপার নিয়ে অবৈধভাবে সিল মেরে বাক্স ভরে রেখে আমার সুনিশ্চিত বিজয়কে নসাৎ করা হয়েছে। প্রশাসনের সকল স্তরের সহযোগিতা নিয়ে আবুল কালম আজাদ নৌকা সমর্থিত দূর্ধর্ষ কর্মীরা গত ১সপ্তাহ ধরে রাতের অন্ধকারে সাধারণ ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিভিন্ন ধরনের খাদ্য সামগ্রীসহ নগদ অর্থ প্রদান করে প্রভাবিত করে আসছে এবং আমাদের বিভিন্ন কেন্দ্রে ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ, কর্মীদের শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা, মারাত্মক ভয়ভীতি প্রদর্শন করাসহ নানা অপকৌশলে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলেছে। বিগত ১ সপ্তাহে আমার নেতাকর্মীদের ওপর অসংখ্য মামলা দিয়েছে। যাতে করে আমার নেতাকর্মীরা ভোটের দিন মাঠে না থাকে।'
তিনি আরও জানান, ভোটের দিন সকাল থেকেই আমার বিভিন্ন কেন্দ্রে পুলিং এজেন্টেদের ভয় দেখানো হয়েছে এবং অন্যান্য নির্বাচনী প্রতিনিধিদেরকে কেন্দ্র এবং মাঠ থেকে সরিয়ে দিয়েছে। নির্বাচন যে সুষ্ঠু হয়নি তার বাস্তব প্রমাণ হলো মেষ্টা ইউনিয়নের অন্তর্গত কেন্দ্র নং- ১০৩, হাজিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে হাতেনাতে ভুয়া ভোট ধরা পড়েছে এবং সংবাদমাধ্যমের কর্মীরা সেটা প্রচার করেছে ও জেলা রিটার্নিং অফিসার হিসেবে আপনাকে বারবার অবগত করা হয়েছে। বিভিন্ন মিডিয়ার প্রতিনিধিরা প্রত্যক্ষ করেছেন এবং সংবাদ প্রকাশ করেছেন।
এ বিষয়ে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মো.শফিউর রহমান সাংবাদিকদের জানান, 'তিনি কী অভিযোগ দিয়েছেন, তা আমরা পর্যালোচনা করব।'
এমআই