মোঃ শামীম হোসাইনঃ পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় ১২ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। রোববার (৭ জানুয়ারি) রাতে জেলার ইন্দুরকানী উপজেলার বালিপাড়া ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।
হামলায় আহতরা হলেন- ছাত্রলীগ কর্মী রাহাত বেপারী (১৯), সুমন শেখ (২৫), রাকিব গাজী (২৫), মুগিজ শেখ (২১), রাব্বি খান (১৯), পারভেজ খান (২৪), আ.লীগ নেতা হেলাল খান (৪১), রহিম ফকির (৫৩), বাদল তালুকদার (৬১), সেলিম বয়াতী (৫১), আলম ডাক্তার (৫০), রুহুল তালুকদার (৫৫) আহত হয়। আহতরা সবাই বিজয়ী নৌকার প্রতীকের প্রার্থী শ ম রেজাউল করিমের সর্থক বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, জেলার ইন্দুরকানী উপজেলার বালিপাড়া ইউনিয়নের পশ্চিম বালিপাড়া পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ফলাফল ঘোষণায় বিলম্ব হলে সাবেক ইউপি সদস্য ও নৌকা মার্কার নির্বাচন পরিচালনা কমিটির ইউনিয়ন সদস্য সচিব মোয়াজ্জেম হোসেন হাওলাদার লোকজন নিয়ে ওই ভোট কেন্দ্রে গিয়ে বিষয়টি জানতে চান। এখবর শুনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল মার্কার নির্বাচনী এজেন্ট ইউপি চেয়ারম্যান কবির হোসেন বয়াতী ও তার লোকজন নিয়ে ঘটনাস্থলে গেলে উভয়ের মধ্যে বাকবিতণ্ডা এবং ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। পরে কবির বয়াতীর লোকজন মোয়াজ্জেম হোসেনের লোকজনের ওপর হামলা করে।
খবর পেয়ে পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা ঘটনাস্থলে এলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। আহতদের ইন্দুরকানী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। নৌকা মার্কার নির্বাচন পরিচালনা কমিটির ইউনিয়ন সদস্য সচিব মোয়াজ্জেম হোসেন হাওলাদার জানান, ভোটের ফলাফল জানাতে দেরি হলে আমার এর প্রতিবাদ করি। কিন্তু কবির চেয়ারম্যান ও তার লোকজন এসময় কোনো কারণ ছাড়াই আমাদের ওপর হামলা করে। হামলায় আমাদের ১২ নেতাকর্মীরা আহত হন।
এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান কবির হোসেন বয়াতী জানান, ভোটের রেজাল্ট দিতে বিলম্ব হওয়ায় মোয়াজ্জেম ও তার লোকজন ভোট কেন্দ্রের কেসি গেট ভাঙচুর করে। বিষয়টি শুনে আমি কিছু লোকজন নিয়ে গিয়ে তাদের থামানোর চেষ্টা করি। এসময়
উভয় পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে তবে কারও ওপর কোনো হামলা করা হয়নি।
ইন্দুরকানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান তালুকদার জানান, ভোট কেন্দ্রের রেজাল্ট দিতে দেরি হওয়ায় দুই পক্ষের সমর্থকদের উত্তেজনার সৃষ্টি হলে উভয় পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ও বিজিবি গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। তবে এ ঘটনায় কোনও লিখিত অভিযোগ পাইনি।
এমআই