মো: মঈন উদ্দিন রায়হান : শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান জীবিত থাকা অবস্থায় কোনদিন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমালোচনা করেননি। স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন ময়মনসিংহ বিভাগীয় সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম খান এ কথা বলেন।
বিএনপি সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য অনেক কিছুই করেছেন, ভবিষ্যতে সরকার গঠন করলে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সব ধরনের সুযোগ সুবিধার ব্যবস্থা করবেন বলেও জানান তিনি।
একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে জিয়াউর রহমান সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করে মুক্তিযুদ্ধের খেতাব অর্জন করেন। জিয়াউর রহমানকে কোন দল এই খেতাব দেয়নি। তাই জিয়াউর রহমানের মুক্তিযুদ্ধের খেতাব বাতিল করার ক্ষমতা রাখেনা বর্তমান সরকার। জামুকার কাজ হচ্ছে মুক্তিযোদ্বোদের কল্যানে কাজ করা, খেতাব বাতিল করা তাদের কাজ নয়।
জিয়াউর রহমানকে অগ্রাজ্য করলে মুক্তিযোদ্ধাদের অস্বীকার করা সমান। জিয়াউর রহমানকে অস্বীকার করা মানে মুক্তিযুদ্ধকে অস্বীকার করা।
বৃহস্পতিবার (৪মার্চ) দুপুরে ময়মনসিংহের আল-বারাকা কনভেনশন সেন্টারে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে ময়মনসিংহ বিভাগীয় সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে গণতন্ত্রের জন্য। সেই গণতন্ত্র হত্যা করেছে আওয়ামী লীগ। খন্দকার মোশতাক মার্সল্য করেছে। খন্দকার মোশতাক তো বিএনপির ছিলো না। বিএনপি গণতন্ত্রকে বার বার উদ্ধার করেছে।
নজরুল ইসলাম খান সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে আরো বলেন, ভিন্নমত থাকতেই পারে তবে সত্যকে জাতির কাছে তুলে ধরাই হচ্ছে সাংবাদিকদের কাজ।
বছরব্যাপী স্বাধীনতার সুবর্ণ জযন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করেছেন নজরুল ইসলাম খান।
স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন মিডিয়া কমিটির আহ্বায়ক ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য আব্দুস সালাম, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ময়মনসিংহ বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক জনাব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ফরিদপুর বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক শ্যামা ওবায়েদ বক্তব্য রাখেন। এসময় দক্ষিণ জেলা বিএনপি'র সাধারণ সম্পাদক আবু ওয়াহাব আকন্দ, উত্তর জেলা বিএনপি'র যুগ্ম আহবায়ক মোতাহার হোসেন তালুকদার, বিএনপি নেতা অধ্যাপক শফিকুর রহমান, ডাক্তার মাহবুবুর রহমান লিটনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সময় জার্নাল/এমআই