এম. পলাশ শরীফ:
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে রেকর্ড়ীয় খালে বাঁধ দিয়ে মৎস্য ঘের করায় পানি চলাচল বন্ধ। ফলে ৩ শতাধিক ফসলী জমি অনাবাদি। বাঁধ কেটে দিয়ে কালভার্ড নির্মাণের দাবিতে এলাকাবাসির বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছেন।
শুক্রবার বেলা ১২ টায় উপজেলার পঞ্চকরণ ইউনিয়নের দরগাবাড়ি খালের বাঁধের ওপর এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভে অংশ গ্রহন করে দুই গ্রামের ৩ শতাধিক কৃষক।
মানববন্ধন থেকে ভূক্তভোগী কৃষকরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে এলাকার একটি প্রভাবশালী মহল ইউপি চেয়ারম্যানের ছত্রছায়ায় থেকে দরগাবাড়ি ২ কিলোমিটার রেকর্ডীয় খালে বাঁধ দিয়ে ব্যক্তিস্বার্থে ২০০৮ সাল থেকে মৎস্য ঘের করে আসছে। যার ফলে পঞ্চকরণ ও খারইখালী দুই গ্রামের ৫ শতাধিক পরিবার বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতায় সৃষ্টিসহ প্রায় সাড়ে ৩শ’ বিঘা জমিতে আমন ধান, রবি শষ্য ফসল ফলাতে পারছে না। জমি থাকছে বছরের পর বছর অনাবাদি। স্থানীয় কৃষকরা এ দুর্ভোগ থেকে রক্ষা পেতে খালের ওপর অবৈধ বাঁধ কেটে দিয়ে পানি চলাচলের জন্য একটি কালভার্ড নির্মাণের জোর দাবি জানান স্থানীয় সংসদ সদস্য ও উর্দ্ধতন প্রশাসনের প্রতি।
বিক্ষোভ ও মানববন্ধনে এ সময় বক্তৃতা করেন কৃষক সরোয়ার শেখ, লাল চান বাদশা, হানিফ শরীফ, শংকর কুমার বিশ্বাস, আবজাল কাজি, নাসির উদ্দিন হাওলাদার, ইউপি সদস্য মশিউর রহমান, সংরক্ষিত ইউপি সদস্য মোমেনা বেগম, সাবেক ইউপি সদস্য খলিল শরীফ, গিয়াস উদ্দিন হাওলাদার, জালাল শরীফ, সোহেল হাওলাদারসহ স্থানীয়রা।
এ বিষয়ে পঞ্চকরণ ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক মজুমদার বলেন, জনাসাধারণের চলাচলের জন্য দুই জন সমাজ সেবকের অর্থায়নে দরগাবাড়ি খালে বাঁধ দেওয়া হয়েছিল। তবে, ওখানে মাছ চাষ করছে কিনা আমার জানানেই। তিনি মৎস্য ঘের ব্যবসার সাথে জড়িত নন।
এ সর্ম্পকে মোরেলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসএম তারেক সুলতান বলেন, পানি চলাচলের রেকডীয় কোন খালই অবৈধ বাঁধ দেওয়া যাবে না। পঞ্চকরনের খালের বিষয়টি তিনি অবহিত নন। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এমআই