বুধবার, জানুয়ারী ১৭, ২০২৪
নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাষ্ট্রীয় সম্পদ আর্থিক চ্যানেলে সব শ্রেণি পেশার মানুষের কাছে পৌঁছাতে অর্থনীতিবিদ প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ বিভিন্ন প্রস্তাবনা দিয়েছেন।
প্রফেসর পারভেজের মতে, রক্তশূন্যতায় যেমন মানুষ অসুস্থ্য হয়ে যায়, অর্থহীনতায় তেমনি সমাজ-সংসার পঙ্গু হয়ে পড়ে। তাই রাষ্ট্রের সর্বাঙ্গে অর্থ প্রবাহ নিশ্চিত করা অবশ্যই প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন। গড় আয়ের উচ্চতা দিয়ে নয় সব মানুষের আর্থিক অবস্থার চিত্র দিয়েই প্রকৃত অর্থনৈতিক উন্নয়নকে পরিমাপ করতে হবে। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে দেশের প্রতিটি মানুষের কাছে ব্যাংকিং ব্যবস্থার মাধ্যমে অর্থ পৌঁছানোর ব্যবস্থা করতে হবে। যাতে আর্থিক কারণে কোন ব্যক্তি বা পরিবারের কোনো উদ্যোগ ব্যহত না হয়। কারণ আর্থিক সংকটের কারণেই তৃণমূল পর্যায়ে মানুষের পক্ষে অনেক কাজ করা সম্ভব হয়।
ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রচেষ্টা ও আর্থিক সংকটের কারণে সম্ভব হয়না। এ অনেক প্রতিভাবান মানুষ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প স্থাপনে আগ্রহী হলেও পুঁজির অভাবে তার পক্ষে তা করা সম্ভব হয় না। ৪. শিক্ষা কার্যক্রম বহমান রাখতেও আর্থিক সংকট থাকায় অনেক মানুষ শিক্ষা চখবাস করতে পুঁজির অভাব। এই প্রকট সাধারণত- বঞ্চিত থাকে। এইসব আর্থিক সংকট মোচন করা জরুরি বলে প্রফেসর পারভেজ মনে করেন।। বর্তমান ব্যাংকিং ব্যবস্থায় জাতীয় সঞ্চয় মূলত সমাজের উচ্চ ও উচ্চ-মধ্যবিত্তের চাহিদা পূরণে কাজ করে। কিন্তু এই আয় সমাজের গরিষ্ঠ অংশ অর্থাৎ গ্রাম-গঞ্জের মানুষের হাতে পৌঁছুতে হবে। তবেই অর্থনৈতিক সংকট মোচনের মাধ্যমে সামাজিক অর্থনীতির উন্নয়ন সম্ভব হবে। দেশের রাষ্ট্রীয় ও বেসরকারি ব্যাংকগুলো জাতীয় সম্পদ কুক্ষিগত করে। এই জাতীয় সম্পদ সব মানুষের কাছে পৌঁছাতে ব্যর্থ হওয়ায় এনজিও ভিত্তিক ঋণ কার্যক্রম গ্রাম-গঞ্জে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে সাধারণ মানুষের কিছু অংশ লাভবান define হলেও উচ্চহারের সুদের কারণে ঋণ গ্রহিতারা এক ধরনের শোষণের শিকার হচ্ছেন। এই অবস্থা দূরীকরণের জন্য ব্যাংকিং চ্যানেলকে সব মানুষের কাছে নিয়ে যেতে হবে। যাতে সব মানুষ পুঁজি সংকট থেকে রক্ষা পায় এবং জাতীয় উৎপাদন তথা, উন্নয়নে সরাসরি সম্পৃক্ত হতে পারে। বই: এক পলকে একটু দেখা, অধ্যাপক পারভেজের জীবন ও দর্শন, অনুচ্ছেদ-৮।
লেখক: অর্থনীতিবিদ ও চেয়ারম্যান, ন্যাশনাল ব্যুরো অব ইকোনোমিকস রিসার্চ (এনবিইআর)।